আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ অক্টোবর ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

ফান্ড নিয়ে ভিআইপিবি’র কারসাজি

vipbশেয়ারবাজার রিপোর্ট: ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজার পরিচালিত এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এসইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে কারসাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফান্ড ম্যানেজার ভিআইপিবি প্রায় ১৮ কোটি ৮৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা আইন ভেঙ্গে বিনিয়োগ করেছে।

এর মধ্যে এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ট্রাস্ট ডিডের ধারা ৩.২.৯ অমান্য করে ৬ কোটি টাকা এবং এসইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ট্রাস্ট ডিডের ধারা ৩.২.২ অমান্য করে ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছে।

আলোচিত ফান্ড দুটির অডিটর একনাবিনের ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের হিসাব নিরীক্ষায় এমন অনিয়মের চিত্র উঠে আসে।

উল্লেখ্য, আলোচিত ফান্ডের ট্রাস্ট ডিডের ধারা ৩.২.৯ এ বলা হয়েছে, কোন ফান্ড একই অ্যাসেট ম্যানেজারের অধীনে পরিচালিত অপর কোন স্কীমে বিনিয়োগ করতে পারবে না। অপরদিকে ট্রাস্ট ডিডের ধারা ৩.২.২ এ বলা হয়েছে কোন ফান্ড নীট সম্পদ মূল্যের ১০ শতাংশের বেশি একক শেয়ারে বিনিয়োগ করবে না।

জানা যায়, এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আলোচিত এ ফান্ডটি একই অ্যাসেট ম্যানেজার পরিচালিত মেয়াদি সাইথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭২ লাখ ৪১ হাজার ইউনিট কিনেছে। যার ক্রয়মূল্য ৬ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এ বিষয়ে অ্যাসেট ম্যানেজার ভিআইপিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মন্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে ভিআইপিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিপ্লব দাস শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আইনে ফান্ড এবং স্কীমকে আলাদা করা হয়নি। তাই অডিটরদের এমন সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই ফান্ড এবং স্কীমকে আলাদা করে সংজ্ঞায়িত করার জন্য আমরা বিএসইসি’র কাছে আবেদন করেছি।

এসইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আলোচিত ফান্ডটি গড় ২৬ দশমিক ৩৮ টাকা দরে ব্র্যাক ব্যাংকের ৩২ লাখ ৬৫ হাজার ৮২৮টি শেয়ার কিনেছে। যার বাজারমূল্য ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪০ টাকা। এ হিসেবে একক শেয়ারে ফান্ডটির বিনিয়োগ নীট সম্পদ মূল্যের ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ হয়েছে। যা বিদ্যমান ট্রাস্ট ডিডের লঙ্ঘন।

আর এ বিষয়ে অডিটরের মতে, ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়ে যাওয়ায় একক শেয়ারে বিনিয়োগ নীট সম্পদ মূল্যের ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বিপ্লব দাস শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের বাজার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে। আর অডিটরের আপত্তির কারণে এ বিষয়ে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি।

অপরদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমানের কাছে এসব বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, আইন অনুযায়ী একই অ্যাসেট ম্যানেজারের অধীনে পরিচালিত এক ফান্ড অপর ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবে না। আর কারো একার কথায় আইনের পরিবর্তনও হবে না। কারণ কমিশন সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আইন প্রণয়ন করেছে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে বিনিয়োগ হয়ে থাকলে এর বিরুদ্ধে কমিশন আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/আ.সা/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.