আজ: রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

ভারতে ফের করোনার থাবা,বিভিন্ন রাজ্যে সতর্কতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছুটা ধীর গতিতে হলেও ভারতে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দেশটিতে প্রথম করোনা ভাইরাসের উপ-ধরন (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) জেএন.১ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এরপরেই সতর্ক হয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলোকে সাতটি নির্দেশাবলী পাঠানো হয়েছে।

এসব নির্দেশিকায় আসন্ন উৎসবের মৌসুমে সতর্ক হতে বলার পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যগুলোকে রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালাতের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এজন্য জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্যটিতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছিল জেএন.১।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনাপ্রতিরোধী অনুমোদিত সব টিকাই জেএন.১-এর বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেবে। কেরালায় বর্তমানে ১ হাজার ৩২৪ জন কোভিড-১৯ রোগী রয়েছেন। গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজ্যটিতে করোনাজনিত কারণে অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তবে এগুলোর মধ্যে ঠিক কতটি ঘটনা জেএন.১ সম্পর্কিত, তা নিশ্চিত নয়। ভাইরাসটির বিভিন্ন ধরন শনাক্তের জন্য একেবারেই সামান্য কিছু নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করা হয় সেখানে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে কেরালায় একটি নমুনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় জেএন.১ উপ-ধরন শনাক্ত হয়। রোগী ছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এক নারী। তার ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় অসুস্থতা ছিল এবং পরে তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।

এর আগে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি থেকে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এক নারী। তার শরীরেও ধরা পড়েছিল করোনা ভাইরাসের জেএন.১ উপ-ধরন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, আসন্ন উৎসবের মৌসুমের কথা মাথায় রেখে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত। সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ নিয়ে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল, তা মেনে চলতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে যে রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসছেন, তাদের উপর নজর রাখতে হবে। এ নিয়ে জেলাভিত্তিক রিপোর্ট দিতে হবে। এর ফলে রোগের প্রাথমিক প্রবণতা ধরা পড়বে।

কোভিডের নির্দেশিকা মেনে প্রতিটি জেলায় পরীক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখতে হবে। আরটিপিসিআর এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপর জোর দিতে হবে। কারও রিপোর্ট পজিটিভ এলে নমুনার জিনোম পরীক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক কনসর্টিয়ামে পাঠাতে হবে। যেন দ্রুত নতুন উপ-ধরন শনাক্ত করা যায়।

সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো কতটা প্রস্তুত তা বোঝার জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে মহড়ায় অংশ নিতে হবে। নাগরিকদের ক্রমাগত সতর্ক করার কথাও বলা হয়েছে রাজ্যগুলোকে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ (আইএলএসএসিওজি) বলছে, কেরালায় জেএন.১ উপ-ধরনের অস্তিত্ব মিলেছে। সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশেও মিলেছে এই প্রজাতি। এর উপসর্গ হলো জ্বর, সর্দি, কাশি, মুখে ব্যথা বা চাপ অনুভব, মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যথা। করোনা ভাইরাসের বিএ.২.৮৬ ওমিক্রন প্রজাতির একটি উপ-ধরন এটি। গত আগস্টে লুক্সেমবার্গে প্রথম এই উপ-ধরন শনাক্ত হয়। গত জুলাই মাসে ডেনমার্কে বিএ.২.৮৬ প্রজাতির অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে।

বিজ্

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.