ফার্মেসী, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান, জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে মিলন ফার্মেসি ও নানা অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় একাধিক ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অনিয়মের অভিযোগে সেন্টাল হাসপাতাল ও সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জেল জরিমানা করেছে।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের লাইসেন্স বিহীন বিভিন্ন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে র্যব-৬ এর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প ইনচার্জ লে. কর্নেল মো. রাসেল আহমেদ ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট শপথ বৈরাগী।
শনিবার ২০ জানুয়ারি এ অভিযান পরিচালনাকালে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ তাদেরকে সহযোগিতা করেন।
র্যাব ৬-এর ইনচার্জ মো. রাসেল আহমেদ ও আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট শপথ বৈরাগী বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বেশকিছু অসাধু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারছাড়াও ওষুধ ফার্মেসি ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, অদক্ষ পরিক্ষকি এবং ভুয়া ডাক্তার দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছিল। শনিবার ১১টার পর আমাদের কাছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বেশ কয়েকটি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও শহরের নামকরা মিলন ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গোপনখবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর সন্ধানি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা, নিউ আনন্দলোক ডায়াগনস্টিকে ১০ হাজার টাকা, পদ্মা ডায়াগনস্টিকে ১০ হাজার টাকা, সেন্টাল হাসপাতালকে ১০ হাজার ও মিলন ফার্মেসিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধ রাখার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শপথ বৈরাগী।
আগামি ৭ দিনের মধ্যে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে সরকারের যাবতীয় নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্যার্থতায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক।
শেয়ারবাজারনিউজ ডটকম/ শি.