আজ: বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ইং, ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ জানুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার |

kidarkar

রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রনের প্রস্তুতি, কমতে পারে তেল-চিনি ও খেজুরের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী মার্চ মাসে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। ওই সময় বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে।রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ওই সময় বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছে সরকার। রমজান মাস সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক-কর কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য তিনটির দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার এ চিঠি পাঠানো হয় বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে ভোজ্যতেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমানো এবং চিনিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শুল্ক-কর কমানোর অনুরোধ করা হয়েছে খেজুরের ওপর।

আগের দিন রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নিত্যপণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় এসব পণ্যে শুল্ক-কর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।

চিনি আমদানিতে বর্তমানে পাঁচ ধরনের শুল্ক-কর রয়েছে। প্রতি টন অপরিশোধিত চিনিতে আগে আমদানি শুল্ক ছিল নির্ধারিত তিন হাজার টাকা। গত নভেম্বরে তা কমিয়ে অর্ধেক অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। এর বাইরে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি), ৩ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) এবং ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) রয়েছে।

পরিশোধিত চিনিতে বর্তমানে আমদানি শুল্ক নির্ধারিত তিন হাজার টাকা, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, এআইটি ৫ শতাংশ, এটি ৫ শতাংশ এবং আরডি রয়েছে ৩০ শতাংশ। দুই ধরনের চিনিতে এ শুল্ক–কর কাঠামো ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই দুই ধরনের চিনি আমদানিতেই ৩০ শতাংশ আরডি প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে এনবিআরকে।

বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করতে হয়। ভোজ্যতেল আমদানির ওপর বর্তমানে ভ্যাট রয়েছে ১৫ শতাংশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এনবিআরকে এই ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার অনুরোধ করেছে।

ভোজ্যতেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন ও পাম তেলের ওপর ২০২২ ও ২০২৩ সালজুড়ে কয়েক দফায় ভ্যাট ছাড় দিয়েছে সরকার। সর্বশেষ ভ্যাট–ছাড় সুবিধা ছিল গত বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। আমদানি পর্যায়ে শুধু ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছাড়–সুবিধা বহাল রাখার অনুরোধ জানালেও এনবিআর আর তা মানেনি। এর ফলে বর্তমানে ভ্যাট ১৫ শতাংশই রয়েছে।

চলতি অর্থবছরে খেজুরের ওপর বেশি শুল্ক-কর আরোপ করা হয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার তা কিছুটা আমলে নিচ্ছে। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে, যার পুরোটা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আমদানি করা হয়। খেজুরের মানও বিভিন্ন ধরনের। বর্তমানে খেজুরে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ এআইটি, ৫ শতাংশ এটি এবং ৩ শতাংশ আরডি রয়েছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.