বন্ধ-লোকসানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের বাড়বাড়ন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে সিরামিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে কারখানা বন্ধ করে কোম্পানিটি। এ কোম্পানি চলছে লোকসানে। গত দুই বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি।
কোম্পানিটি জানিয়েছে,করোনা পরবর্তী আর্থিক সংকট, বর্তমান বৈশ্বিক নেতিবাচক পরিস্থিতি, কাঁচামালের ঘাটতি এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বর্তমানে কোম্পানিটির কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ।
সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৩৪ পয়সা করে লোকসান হয়েছে। এদিকে লোকসানি এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০৬ টাকায়।
জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৩ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২০২৩-সেপ্টেম্বর’২০২৩) স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক শেয়ারপ্রতি ৭ টাকা ৩৪ পয়সা লোকসানে রয়েছে। আর গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিলো ৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় লোকসান বেড়েছে ৪ টাকা ৩৪ পয়সা বা ১৪৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত দুই বছরের প্রত্যেক প্রান্তিকের কোম্পানিটির এ লোকসানের ধারা অব্যাহত রয়েছে
অথচ কোম্পানিটির শেয়ারদর রকেট গতিতে বেড়েছ। ৯৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০৬ টাকা পর্যন্ত দরে লেনদেন হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটির ক্লোজিং দর ছিলো ১০৬ টাকা।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট দায় ছিল ২২ টাকা ১৬ পয়সা। আর ক্যাশ ফ্লো ছিলো মাইনাস ৮ টাকা ১৬ পয়সা।
এদিকে, কয়েক বছর ধরে কোম্পানিটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না।এছাড়া, চলতি সম্পদের থেকে চলতি দায়ের পরিমাণ অনেক বেশিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আবার কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মূলধনের থেকেও বেশি সম্পদ দেখিয়েছে। যে কোম্পানিটির চলতি মূলধনের সংকটে দ্রুত ব্যাংক ঋণ বাড়ছে। ভবিষ্যতে কোম্পানিটির ব্যবসা টিকিয়ে রাখা হুমকির মধ্যে পড়েছে।
উল্লেখ্য,১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ৬৫০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক ৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।