প্রবৃদ্ধির দেশে পুঁজিবাজার হাঁটছে উল্টো পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় পুঁজিবাজারকে। অর্থনীতির অগ্রগতির ধারাকেও তরান্বিত করে পুঁজিবাজার। তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের চিত্র ভিন্ন রকম। উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে পুঁজিবাজার হাঁটছে উল্টো পথে। পুঁজিবাজারের অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে দায়ী কার? অনেকেই মনে করেন বিভিন্ন সময়ে নানা গুজব বাজরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে । বাজার নীতি নির্ধারকদের নানা ধরনের সিধান্তও বাজারে প্রভাব পড়ে। ফলে বাজারে অস্থীরতা তৈরি হয়। ফ্লোর প্রাইস এবং সাম্প্রতিক সময়ে জেড ক্যাটাগরির সিদ্ধান্ত । বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ সিধান্ত নিয়েছে। তবুও তার প্রভাব বাজারে পড়েছে।
দেখা গেছে,ফ্লোর প্রাইজ প্রতাহারে পুঁজিবাজার উত্থান ফিরলেও গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক দরপতনের মধ্যে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে অনেকটা নীরবে পুঁজি হারাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
কিছু কিছু বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ২০১০ সালের থেকেও ভয়াবহ বলে মনে করছেন। সাম্প্রতিক সময়েও তালিকাভুক্ত অধিংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। এতে একটু একটু করে পুঁজি হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ঘন ঘন সিদ্ধান্তের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। উদাহরণ হিসেবে তারা ফ্লোর প্রাইস এবং সাম্প্রতিক সময়ে জেড ক্যাটাগরির সিদ্ধান্ত সামনে নিয়ে এসেছেন। এ ধরণের সিদ্ধান্ত বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আজ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সাথে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমানে লেনদেন বেড়েছে।
এ দিন ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৩১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৯৭ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২ টির, দর কমেছে ২৩২ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩ টির। ডিএসইতে ৮৪৩ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫০ কোটি ৫ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২৫৫ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮২ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৪ টির এবং ৩৯৮ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।