আজ: সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ইং, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

স্বাধীনতা হঠাৎ আসেনি, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় এসেছে: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ারবাজার ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা হঠাৎ আসেনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। এটা তিনি (বঙ্গবন্ধু) কাউকে বলেননি। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে ৬৯ সালের অক্টোবর মাসে আমার বাবার লন্ডনে গিয়েছিল। তিনি (বঙ্গবন্ধু) মুক্তি পাওয়ার পর পর আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ইতালিতে চলে যাই। ইতালি থেকে আমার স্বামী আবার লন্ডনে চাকরি পেয়েছিল, সেখানে চলে যাই। সেখানে বসে তিনি তার যে পরিকল্পনা ছিল, নির্বাচন হবে, নির্বাচনের রেজাল্ট আসবে, ওরা ক্ষমতা দেবে না, আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধের প্রস্তুতিটা আমি একজন সাক্ষী এখনো আছি, তিনি পরিকল্পনা করেন। ভারতের দুজন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেন। আমাদের গেরিলা যুদ্ধ হবে, সেখানে শরণার্থী গেলে কীভাবে আশ্রয় হবে, প্রবাসী বাঙালিরা কি কি কাজ করবে, সমস্ত পরিকল্পনা তিনি করে আসেন।

পাক্স্তিানিরা নাজমুল হকের (মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন) কাছে জিজ্ঞেস করেছে— ৭ মার্চের ভাষণের শেখ মুজিব কি কথা বলেছিল? সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। ৭ মার্চের ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতেই তাদের (পাকিস্তানি) সময় গেছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) কী বলে গেলেন? কী হয়ে গেল? বাংলাদেশের মানুষ অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলো। এটাই ছিল তাদের (পাকিস্তানি) বক্তব্য। একজন নেতার ভাষণ মানুষকে শুধু উদ্বুদ্ধ করেনি, গেরিলা যুদ্ধের শুধু প্রস্তুতি দেয়নি, একটা যুদ্ধের বিজয় এনে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মার্শাল ল’য়ের মধ্যেও নির্বাচন দেওয়ার ওয়াদা করেছিল ইয়াহিয়া খান। ওয়াদার মধ্যেও কিছু শর্ত ছিল। আমাদের দেশের অনেক রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তি এ নির্বাচনে বিরোধিতা করেছিল। সেই শর্ত মেনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার (বঙ্গবন্ধু)  কথা ছিল, কে এদেশের নেতৃত্ব দেবে এটা আগে জনগণ ঠিক করুক।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.