গ্রাহক পর্যায়ে ডিজিটাল ডিভাইস লোন দেবে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও পাম পে

কনিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এবং বহুজাতিক ফিনটেক উদ্ভাবক কোম্পানি পাম পে লিমিটেড বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ডিজিটাল ডিভাইস লোন দিবে। গ্রাহকদের কাছে প্রযুক্তি সহজলভ্য করতে নতুন ডিজিটাল ঋণ সুবিধা নিয়ে একটি কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই চুক্তিটি দেশের আর্থিক খাতে বিদেশি তহবিলের উল্লেখযোগ্য প্রবাহের সূচনা করেছে। যা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
এ চুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকরা টেকনো, আইটেল এবং ইনফিনিক্স মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য মাত্র ১০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। বাকি অর্থ ছয় মাসের মধ্যে সহজ শর্তে পরিশোধ করা যাবে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল এই অর্থায়ন প্রক্রিয়ার অনুমোদনের জন্য প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের, ফলে এখানে ক্রেডিট কার্ডের কোন প্রয়োজন নেই।
তাছাড়া, গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আর্থিক এই সেবাটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তারা যেকোনো ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ইএমআই পরিশোধ করতে পারবেন। এই জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, ডিরেক্টর ফরকান এন হোসেন, চিফ রিস্ক অফিসার সুমন কুমার কুন্ডু, চিফ টেকনোলজি অফিসার মোঃ ফয়সাল হোসেন এবং গ্রুপ হেড অব অপারেশনস মোঃ রফিকুল আমিন। পাম পের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন হেড অব ওভারসিজ ফাইন্যান্স বিন বিন ফ্যান, হেড অব স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অ্যান্ড বিজনেস মোঃ সফকাত ইসলাম এবং ডিরেক্টর ও কান্ট্রি হেড জুন জেং।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কায়সার হামিদ বলেন, এই চুক্তিটি আমাদের গ্রাহকদের একটি কাস্টমাইজড আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে সহায়তা করবে যা তাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। পাম পে লিমিটেডের সঙ্গে এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলো গ্রাহকের আরও হাতের নাগালে এনে দিতে পারছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং স্থানীয় মুদ্রাস্ফীতির চাপের মধ্যে বিদেশি তহবিলের এই প্রবাহ দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স আরও বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা প্রদানের সুযোগ তৈরি করতে পারবে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উদ্দীপিত করবে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ত্বরান্বিত করবে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এই বাড়তি তারল্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের আর্থিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে, যা প্রতিযোগিতামূলক ইন্টারেস্ট রেট এবং টার্মস প্রদানে সহায়ক হবে।
জুন জেং বলেন, “বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সঙ্গে এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের জন্য এই উদ্ভাবনী ক্রেডিট সুবিধা নিয়ে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই পার্টনারশীপ আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে আমরা গ্রাহকদের প্রযুক্তি চাহিদা মেটাতে সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক সেবা প্রদান করে আর্থিক সেবা খাতে বিপ্লব ঘটাতে চাই।