আজ: শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ইং, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ অগাস্ট ২০২৪, শনিবার |

kidarkar

গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করায় স্বাগত জানাল জাতিসংঘ

শেয়ারবাজার ডেস্ক : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক গুমের হাত থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেন।

শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বলপূর্বক গুমের ইস্যুটি নিয়ে বাংলাদেশের একটি দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বার বার কথা বলে আসছে।’

গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষা দিতে ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক সনদ গৃহীত হয়।

শামদাসানি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারও বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনকে এর কাজে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি, যা ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ আলোচনা-পরামর্শ এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে নির্দেশনামূলক নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।’

শামদাসানি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবন, জবাবদিহিতা ও পুনর্মিলন এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে।

মুখপাত্র আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সত্য অনুসন্ধান মিশন পরিচালনায় ভলকার টুর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে একটি তদন্ত দল পাঠানো হবে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অপব্যবহার সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার অগ্রগতি সাধন এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা পেশ করবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী জাতিসংঘ এ তদন্ত দলটিকে এর কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে অঙ্গীকার করেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.