আজ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার |

kidarkar

এস আলমের দখল মুক্ত হলো দশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক দশটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আরাফা ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের কবল থেকে দশটি ব্যাংক দখলমুক্ত হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি আদেশে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আতাউল রহমান, মেঘনা ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মহসিন মিয়া ও চার্টার্ড একাউন্টেট শেখ আশ্বফুজ্জামানকে। এ ছাড়া দুজন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব কামরুল হক মারুফ ও জনতা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা। কামরুল হক মারুফ বর্তমানে সরকারের প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে আছেন এবং গোলাম মরতুজা জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ।

আল-আলাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন খাজা শাহরিয়ার। তিনি লংকা বাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন বাংলাদেশের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।

যে দশটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হলো— ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউসিবি, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ব্যাংকে ব্যাপক অনিয়ম ও ঋণ সংক্রান্ত অনিয়ম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

এস আলম গ্রুপ, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন সরকারের সমর্থনে, ২০১৭ সাল থেকে এ দশটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, প্রক্রিয়াটিতে বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠাতা শেয়ারহোল্ডার এবং পরিচালককে বহিষ্কার করেছিল।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে এসব ব্যাংকের মধ্যে বিশেষ করে নিয়োগ ও ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন এস আলম গ্রুপটি ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলন করেছে, বেশিরভাগ বেনামে।

এই ঋণ অনিয়ম ব্যাংকগুলিকে একটি গুরুতর তারল্য সংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান অ্যাকাউন্ট লাল অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেলআউটের উপর নির্ভর করতে বাধ্য করেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.