নতুন বছরও কি হতাশায় কাটবে বিনিয়োগকারীদের?
নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল এবার হয় তো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব। গত সরকারের মতো এই সরকারের আমলেও শেয়ারবাজার সেই পতনের মধ্যেই রয়েছে। চব্বিশ পতনে গেলেও নতুন বছরে হয়তো বাজার ঘুরে দাড়াবে এমন প্রত্যাশা ছিলো বিনিয়োগকারীদের । তবে সেই প্রত্যাশার প্রতিফল নেই উল্টো পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। নতুন বছরের শুরু থেকে ধারাবাহিক দরপতন চলছে। ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণই যেন নেই। কবে এ থেকে মুক্তি মিলবে প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের?
গত দিনের ধারাবাহিকতায় আজও পতনেই পার করল শেয়ারবাজার । আজ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে।
ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে। এরপরও কমেছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার নেটওয়ার্ক সমস্যায় ডিএসইতে লেনদেন বিঘ্ন ঘটে। নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। পরের ১০ মিনিট অর্থাৎ ২টা ৫০ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত পোস্ট ক্লোজিং সেশন চলে। নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান পর লেনদেন হলেও সার্বিক শেয়ারবাজার দরপতন হয়। পরের কার্যদিবস সোমবার ডিএসইতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। তবে মঙ্গলবার আবার দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
কিন্তু সকাল ১১টার পর বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে। তবে এর মধ্যেও বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও সূচকের বড় পতন হয়নি।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৪টির এবং ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩০৭ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪২৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ফাইন ফুডসের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৯৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ কোটি ৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অগ্নি সিস্টেম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মিডল্যান্ড ব্যাংক, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, আফতাব অটোমোবাইল, ওরিয়ন ইনফিউশন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস এবং রবি।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
এই সরকার পিঠে বানছে কুলা আর কানে দিছে তুলা। জুতা মার আর ঝাড়ু মার তাতে তাদের কিছু ই যায় আসে না। ছাগল দিয়ে হাল চাষ হয় না।আর তো কিছু পারবা না। মার্কেট টা বন্ধ করে দাও। তিলে তিলে মরার চেয়ে এক বারে মরি। তা-ও ভাল।
ইনশাআল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ।
জে রাসেদ মাকসুদ ব্যাংকের টাকা মারতে পারে সে সিয়ার মারকেটের টাকা ও মারবে বাজার ভালো কোরতে হলে ওকে সরাতে হবে আগে
কি লিখবো