শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিকিউরিটিজ আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৮ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানকে ৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জরিমানার এই সিদ্ধান্ত গত ডিসেম্বরে কার্যকর করা হয়েছে এবং জরিমানার অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে জমা না দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আনোয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ওপর একটি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে। পরিদর্শনের প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কিছু সমস্যা এবং অসংগতি চিহ্নিত করা হয়। এই কারণে কোম্পানিটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেডকেও একই কারণে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালক অধ্যাপক সুরাইয়া বেগমকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিএলআই সিকিউরিটিজের গ্রাহক তুষার এলকে মিয়া এবং আলমগীর কবিরকে যথাক্রমে ২ কোটি ৫০ লাখ এবং ১২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএসই ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল মডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ক্ষেত্রেও একটি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অভিযোগে এএনডব্লিউ সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সামীর সিকান্দারকে ৯ কোটি টাকা, বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজের মাহির সিকান্দার ও আবু সাদাত মো. সায়েমকে যথাক্রমে ১০ লাখ ও ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের আব্দুল মুবিন মোল্লাকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২০ সালের ৩ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিএসই। এক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে ৮৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া আরেক ঘটনায় সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বিডি ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সমীর সিকান্দারকে ২৩ কোটি ২৫ লাখ, মাহির সিকান্দারকে ৪২ লাখ, আফরা চৌধুরীকে ৩৫ লাখ, আনিকা ফারহীনকে ৭ কোটি ৫০ লাখ ও আবু সাদাত মো. সায়েমকে ১৭ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
একইভাবে ডিসেম্বরে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেডকে ৭ কোটি ১০ লাখ, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ক্লায়েন্ট মাহফুজা আক্তারকে ১০ লাখ ও দেওয়ান সালেহীন মাহমুদকে ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়
জরিমানা আদায় করে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিতরণ করা হোক।
Sumondas
জরিমানার টাকা কি উপদেষ্টাদের পকেটে যায়? বাজারে তো কোন উন্নতি দেখিনা?
চায়না বা জাপানের মত দেশের কাছে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তা হলে যদি শেয়ার মার্কেটের কিছু পরিবর্তন হয়।
এ ভাবে ঢালাওভাবে সবাইকে জরিমানা করলেতো মার্কেট আপ হবে পুঁজিবাজার নামক প্রতিয্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে।
এ ভাবে ঢালাওভাবে সবাইকে জরিমানা করলেতো মার্কেট আপ হবে না বরং একসময় পুঁজিবাজার নামক প্রতিয্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে।
এটা শেয়ার বাজার না এটা কানাচোদা বাজার, অন্ধ বাজার, তারা দেখেনা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এক মাসের মধ্যে কেমনে তিনগুণ বাড়ে সাত টাকা থেকে প্রায় ২০ টাকা বাজারের যতগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আছে প্রত্যেকে এটার সাথে জড়িত তারা এখান থেকে ভাগ বাটোয়ারা পাবে, মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা আপনি এদের বিচার করেন
জরিমানা করলে কার লাভ হয়????
বাজার কিছু বাড়িয়ে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্তা বাড়ানোর পর জরিমানা করেন তাতে বাজারে বিনিয়োগ কারীরা থাকবে
উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হতে পারে কারণ পূর্বের সব বিনিয়োগ কারী বাজার থেকে সরে গেলে আপনারা পুরাপরি খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটাই মনে হচ্ছে