সাকা-মুজাহিদের দাফন সম্পন্ন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মুজাহিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আর সকাল সাড়ে ৯টায় সাক চৌধুরীর জানাজার পর তাকে দাফ্ন করা হয়ে।
জানা যায়, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্রতিষ্ঠিত আইডিয়াল মাদ্রাসার গেটের বাইরের ডান পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে। ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তায় ঢাকা থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি খাবাসপুর আইডিয়াল মাদ্রাসায় পৌঁছে। আইডিয়াল মাদ্রাসায় শনিবার রাত থেকে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। লাশ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
মুজাহিদের বড় ভাই সাংবাদিকদের জানান, ভোর ৬টা ৫৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাজায় পরিবারের সদস্য ছাড়া স্থানীয় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। তবে বাইরের কাউকে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
জানাজা পড়ান মুজাহিদের বড় ভাই ও ফরিদপুর জামায়াতের আমির আলী আফজাল মো. খালেছ।
এদিকে নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামের পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে। কড়া পুলিশ প্রহরায় সাকার নিজ বাড়ির উঠানে সকাল সাড়ে ৯টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান হেফজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মহিবুল্লাহ বাবু নগরী। জানাজা সাকার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
এর আগে শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাকার ফাঁসি কার্যক্রর হওয়ার ২ ঘণ্টা পর লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। এ্যাম্বুলেন্সটি সকাল ৯টায় রাউজানে পৌঁছায়। লাশ পৌঁছানোর পরপরই সাকার স্ত্রী এবং সন্তানরা লাশের ফের গোসল এবং গহিরা এওয়াইজেডএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চায়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পুলিশ গোসল এবং স্কুল মাঠে জানাজার অনুমতি দেয়নি। পরে বাড়ির উঠানেই জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ