বন্ধ হচ্ছে না দরপতন, নিঃস্ব বিনিয়োকারীদের হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে আছে পুঁজিবাজার। এক সপ্তাহ আগে এমনই পতনে ডুবে গিয়েছিল পুঁজিবাজারের সূচক। এরপর মাঝে গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবস টানা উত্থানের পর ফের ছয় কার্যদিবস পতনে আটকে গেছে পুঁজিবাজার।
ফলে অব্যাহত দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ক্রমেই ভারী হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রকট হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। লোকসান কাটিয়ে ওঠার কোনো পথই যেন পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বর্তমান পতনের পেছনে বড় কোন কারণ নেই। তবে অর্থনৈতিক নানা প্রতিবন্ধকতা এবং বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া মন্দা পরিস্থিতি ঘনীভূত হয়েছে। তবে শেয়ারবাজারের মন্দাভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১১৩ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৩১৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার বা ৪ শতাংশ।
ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১২৪টির বা ৩১.৩৯ শতাংশের, কমেছে ২০৬টির বা ৫২.১৫ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৬৫টির বা ১৬.৪৫ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে আজ ৪ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকার।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে ৯৭টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৫টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩২ পয়েন্টে। আগেরদিন সূচক কমেছিল ২১ পয়েন্ট।