জেড ইস্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, সমাধান কোন পথে!
খালিদ হাসান : বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে জেড ক্যাটাগরিতে কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার পতনের পর, জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির সংখ্যা ৫৭ থেকে বেড়ে ৯০-এ পৌঁছেছে, যা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিহানির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জেড ক্যাটাগরিতে সাধারণত সেইসব কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যারা পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে, দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন করেনি, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে, অথবা যাদের রিটেইনড আর্নিংস পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, কোম্পানির নন-কমপ্লায়েন্সের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য বিব্রতকর।
এ ইস্যুতে সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশন এই সমস্যা সমাধানে স্টক এক্সচেঞ্জ ও টাস্কফোর্সের প্রস্তাবের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা কোম্পানিগুলোর নন-কমপ্লায়েন্স ইস্যু সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ক্যাটাগরির বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জের বিষয়। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি মনে করে যে ক্যাটাগরির থাকা উচিত না। তারা যদি এধরণের কোনো সুপারিশ কমিশনে করে তাহলে কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। পাশাপাশি ট্রান্সফোসের সুপারিশের মধ্যে এধরনের গুরুপ সংক্রান্ত কোনো বিষয় থাকে তাহলে পরবর্তীতে কমিশন সে বিসয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোম্পানির নন-কমপ্লায়েন্সের দায় পরিচালনা পর্ষদকে নিতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তারা আরও পরামর্শ দেন যে, শেয়ারবাজারে জেড ক্যাটাগরি ইস্যুতে কারসাজির সুযোগ থাকে, তাই লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ক্যাটাগরি থাকা উচিত নয়।
বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, স্টক এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারীবান্ধব হবে এবং জেড ক্যাটাগরি ইস্যুতে সমাধান দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
তবে, ইতোমধ্যে বিএসইসির উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে কিছু কোম্পানি জেড ক্যাটাগরি থেকে উন্নীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি লভ্যাংশ বিতরণজনিত নন-কমপ্লায়েন্সের সমাধান করে জেড থেকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে।