আজ: শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ইং, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

গাজায় জাতিগত নির্মূলের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ এড়ানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার অনুশীলন বিষয়ক কমিটিতে দেওয়া ভাষণে তিনি দুই রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, সমাধানের সন্ধানে আমাদের অবশ্যই সমস্যাটিকে আরও খারাপ করা উচিত নয়। আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তির প্রতি সবার অবিচল থাকা অত্যাবশ্যক। যে কোনো ধরনের জাতিগত নিধন এড়িয়ে চলা অপরিহার্য।

গুতেরেস ভাষণে ট্রাম্পের কথা সরাসরি উল্লেখ না করলেও তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, গুতেরেসের মন্তব্যকে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা ‘ন্যায্য অনুমান’ হবে।

গুতেরেস বলেন, যে কোনো টেকসই শান্তির জন্য প্রয়োজন দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে বাস্তব, অপরিবর্তনীয় ও স্থায়ী অগ্রগতি, দখলদারিত্বের অবসান এবং গাজাকে অবিচ্ছেদ্য অংশ করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাসকারী একটি টেকসই, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার একমাত্র টেকসই সমাধান।

এর আগে বুধবার গুতেরেস ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান তার মুখপাত্র ডুজারিক।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের দূত রিয়াদ মনসুর কমিটিকে বলেন, ফিলিস্তিন ছাড়া আমাদের আর কোনো দেশ নেই। গাজা এর একটি মূল্যবান অংশ। আমরা গাজা ছেড়ে যাচ্ছি না। পৃথিবীর এমন কোনো শক্তি নেই যা ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজাসহ আমাদের পূর্বপুরুষের জন্মভূমি থেকে সরিয়ে দিতে পারে।

মনসুর জানান, আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে আরব দেশগুলো থেকে ট্রাম্পকে একটি সমন্বিত বার্তা দেবেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা গাজাকে পুনর্গঠন করতে চাই। আমরা এটাকে আবার জোড়া লাগাতে চাই। আমরা সব দেশকে এই প্রচেষ্টায় আমাদের সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা অন্য দেশ বা অন্য জায়গা খুঁজছি না।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি রাষ্ট্র চায়, যা প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল দখল করেছিল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.