আজ: শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫ইং, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

পতনের বৃত্ত ভেঙে ইতিবাচক ধারায় শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়লো।

এর আগে শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন দেখা দিলে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার মতিঝিলে সমাবেশের ডাক দেন বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশের ডাক দেওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে।

সপ্তাহের প্রথম চার কর্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।

লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি প্রধান মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। অবশ্য কিছু বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় বাছাই করা মূল্যসূচক কমেছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৭টির। এছাড়া ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে টানা চার কার্যদিবস ডিএসইতে চারশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো।

এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি টাকার। এছাড়া ৯ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।

ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সেন্ট্রাল ফার্মা, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, অগ্নি সিস্টেমস এবং কুইন সাউথ টেক্সটাইল।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.