মাশরাফির নৈপুণ্যে কুমিল্লার জয়
শেয়ারবাজার ডেস্ক: চিটাগং ভাইকিংসকে সাত উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে প্রথম জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অধিনায়ক মাশরাফির ও মারলন স্যামুয়েলসের অপরাজিত ১২৩ রানের জুটি সাত বল বাকি রেখেই কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করে। অধিনায়কোচিত ব্যাট করে মাশরাফি করেন ৫২ আর স্যামুয়েলস করেন ৬৯ রান।
চিটাগংয়ের দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের মারাত্মক বোলিংয়ের শিকার হন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই আমিরের শিকার ইমরুল কায়েস। এরপর দলীয় ১০ রানের মাথায় ফিরে যান লিটন দাস। শুভাগত হোম ও মারলন স্যামুয়েলসকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। শুভাগত ১৬ বলে ছয় চার ও দুই ছয়ে ৩০ রান করে শফিউলের শিকারে পরিণত হন।
এরপরই দলের দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে মাঠে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। অধিনায়কোচিত ব্যাট করে স্যামুয়েলসকে নিয়ে গড়েন অপরাজিত ১২৩ রানের জুটি। মাশরাফি ৩২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছয়ে করেন ৫২ রান। অপরদিকে মারলন স্যামুয়েলস করেন ৫২ বলে আটটি চার ও একটি ছয়ে করেন ৬৯ রান। তাদের এ অপরাজিত জুটিই সাত বল ও সাত উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।
এরআগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের আজকের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে চিটাগং ভাইকিংস চার উইকেটে ১৭৬ রান করে।
ওপেনিং করতে নেমে নেমে পাওয়ার প্লে’র প্রথম ছয় ওভার দারুণভাবে কাজে লাগায় ভাইকিংসের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিলকারত্নে দিলশান। তারা কোন উইকেট না হারিয়েই করে ৫৩ রান।
অষ্টম ওভারে জাইদীর বলে আউট হবার আগে ২১ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে ৩৬ রান করেন দিলশান। এক ওভার পরেই সাজঘরে ফিরে যান তামিম। গত দু’ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি হাকানো তামিম আজও তার মারমুখী খেলা অব্যাহত রাখে। তিনি ৩১ বলে এক চার ও তিন ছয়ে করেন ৩৩ রান।
তামিমের আউটের পরই দ্রুত ফিরে যান কাপুগেদারা। এর পর দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী। তাদের ৩৯ রানের জুটি দলের রানের চাকা সচল রাখে।
শেষদিকে এনামুল হক বিজয়ের ৩০ বলে ৩৯ রান আর জিয়াউর রহমানের ছোট্ট ঝড়ো ইনিংস ১৫ বলে দুই চার ও তিন ছয়ে ৩৮ রান দলকে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করতে সহায়তা করে।এনামুল বিজয় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। কুমিল্লার পক্ষে পাকিস্তানী বোলার আশার জাইদী দুটি উইকেট নেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ