শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত নাকি কৃত্রিম উত্থান?

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতার মাঝে সূচক ও লেনদেনের উত্থান বিনিয়োগকারীদের মনে কিছুটা স্বস্তি আনলেও এটি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত নাকি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি প্রবণতা, সেটিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অভ্যন্তরে অস্থিরতা এখনও চরমে। কমিশনের ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় ১৩ জন জামিন পেলেও বাকি তিনজন এখনও জামিন পাননি। এরই মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিএসইসিতে অভিযান চালিয়েছে, যা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি করেছে। সরকারের নির্দেশে এ অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল।
অন্যদিকে, বাজারের কিছু স্টেকহোল্ডাররা বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, অথচ তারাই কিছুদিন আগেও কমিশনের কঠোর সমালোচনা করছিলেন। তাদের ভাষায়, বর্তমান কমিশন শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সংকট প্রকট হওয়ায় বাজারে একদিকে প্রশাসনিক অস্থিরতা, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক লোকসান ও ফোর্স সেলের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ প্রধান সূচক ১৬.৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৫,১৯০ পয়েন্টে পৌঁছেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-এস ৫.৬৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯.৮৯ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। আজ মোট ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৭৪টির দর বেড়েছে, ১৩৭টির কমেছে এবং ৮৩টির অপরিবর্তিত ছিল।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ১০ কোটি ৪১ লাখ টাকা থেকে কমে ৪ কোটি ১০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। সেখানে ২২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির দর বেড়েছে, ৯৩টির কমেছে এবং ৩৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএএসপিআই সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৪,৪৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা দরপতন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের মধ্যে সূচক ও লেনদেনের এই উত্থান আদৌ টেকসই কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অনেকেই এটিকে কৃত্রিম প্রবণতা বলে মনে করছেন। কিছু স্টকহোল্ডার বাজার চাঙা রাখার কৌশল হিসেবে এ উত্থানকে কাজে লাগাতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে আরও বড় দরপতনের ইঙ্গিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বাজারের এই উত্থান স্বাভাবিক প্রবণতার অংশ হয়, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক হতে পারে। তবে যদি এটি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো, বাজার কি সত্যিই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, নাকি এটি কেবল ক্ষণস্থায়ী উত্থান?
শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে অনেক উচ্চতায় যাবে লুটপাট করা ব্যক্তিদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে নাহলে শেয়ার বাজার ঠিক হবে না বর্তমান বিএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্তগুলো সঠিক সাধারণ বিনিয়োগকারিআশা করে এই অবস্থা থাকবে না ইনশাআল্লাহ
শেয়ার বাজার ভবিষ্যতে অনেক ভাল হবে এটা স্বাভাবিক। যারা লুটপাট করেছে ঐসব ব্যক্তিদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে নাহলে শেয়ার বাজার ঠিক হবে না।
বর্তমান বিএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্তগুলো সঠিক সিদ্ধাান্ত নিবে আশা করি। বিনিয়োগ কারি দের আস্তা ফিরে আসবে।
চেয়ারম্যান এর উচিত যারা যারাই পুঁজিবাজারের সাথে দুর্নীতিগ্রস্ত তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা উচিত। এই কাজটি করতে পারলে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে যাবে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্তা ফিরে আসবে।
আজ পর্যন্ত দোষীদের শাস্তি না হওয়াতে বাজারে এই অবস্থা । বাজারটা নিজস্ব গতিতে চললে ঠিকই ভালো থাকবে। আমরা আশা করি বাজারটা নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ পর্যন্ত দোষীদের শাস্তি না হওয়াতে বাজারে এই অবস্থা । বাজারটা নিজস্ব গতিতে চললে ঠিকই ভালো থাকবে। আমরা আশা করি বাজারটা নিজস্ব গতিতে চলবে।
3-0 সিস্টেম এ উত্থান পতন চলছে এবং চলবেই,,,,,
একবার A category, আরেকবার B category, আবার Z category এভাবেই ভেলকিবাজির শেয়ার বাজার চলছে,,যে লাউ সেই কিছু,,,একেই বলে আমার নিজস্ব তত্ত্ব…3-0 system or 3-Z
ICB,DSC BSEC এই তিন গোত্র মিলে এই ভেলকিবাজির খেলা খেলছে।।।
Amar. money hoy suchok artifical babe barano hochy Carefully takle kortenhobe .
আমি একটু আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় সামান্য কিছু টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছি । বর্তমান অস্থিতিশীলতায় জানিনা কী হবে।
শেয়ারবাজারে বিশ্বাস আনতে হলে পূর্বের দুর্নীতি বাজদের মুখোশ খুলেদিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের সম্পত্তি র হিসাব নিয়ে অবৈধ সম্পত্তি পাওয়াগেলে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে বর্তমান কমিটিকে ধন্যবাদ।