সাপ্তাহিক বাজার: সূচক ও লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ধারার শেষ হয় লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের ৩ দিনই সূচকে নিম্নমুখী ধারা বিদ্যমান থাকে। বাকী একদিন সূচক বাড়লেও তা ছিলো সামান্য। এরই ধারাবাহিকতায় সব ধরনের সূচক ও লেনদেনে ব্যাপক অবনতি ঘটছে। পাশাপাশি কমেছে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন করা অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। এদিকে গত দুই সপ্তাহ যাবৎ ধারবাহিকভাবে কমেছে বাজার মূলধনের পরিমাণও।
উল্লেখ্য, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর বুধবার দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকে।
বার বার চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। বাজারের এমন নেতিবাচক অবস্থার নেপথ্যে সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাই কাজ করছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ধারা বিদ্যমান থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে (১৩-১৭ ডিসেম্বর) ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছে ১.৩৬ শতাংশ বা ৬২.৫৪ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ১.৩৪ শতাংশ বা ১৪.৭৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ১.২৩ শতাংশ বা ২১.৩৫ পয়েন্ট। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ২৩১টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির এবং লেনদেন হয়নি ৪টির। আর টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২২০ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৭ টাকা।
এর আগের সপ্তাহশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছিলো ১.২৪ শতাংশ বা ৫৭.৬২ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছিলো ১.৬৮ শতাংশ বা ১৮.৮৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছিলো ১.৭৬ শতাংশ বা ৩১.১৪ পয়েন্ট। আর টাকার অংকে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৩ টাকা। সে হিসেবে আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ৯৪৭ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫১ টাকা বা ৪৩.৭১ শতাংশ।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৭৭টি। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিলো ৫৩ কোটি ৮২ হাজার ৬২৩টি। সে হিসেবে ডিএসইতে আলোচিত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৪১.৯৩ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহশেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০৪ হাজার ৮৫ কোটি ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯০ টাকা। আগের সপ্তাহশেষে যা ছিলো ৩ লাখ ১৪৭ হাজার ৩৮ কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ৬২৯ টাকা। সে হিসবে আলোচিত সপ্তাহ বাজার মূলধন কমেছে ১.৬৬ শতাংশ।
এদিকে আলোচিত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ১.২৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া মোট ২৭০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ১৯৮টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ২১টি কোম্পানির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৪০ লাখ ৪ হাজার ৭২০ টাকা।
এর আগের সপ্তাহে সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক কমেছিলো ১.৬৯ শতাংশ। আর সে সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিলো ১৫৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৭টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ