আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

অস্তিত্ব সংকটে ৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ড

mfশেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিবি’র সাবসিডিয়ারি কোম্পানি আইসিবি এএমসিএল পরিচালিত ৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) প্রকাশিত হয়েছে। এ ৭টি ফান্ডেরই এনএভি বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে ফেস ভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৪০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড তালিকাভূক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে, যার সবগুলোরই ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি এএমসিএল।এগুলো হলো: আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি এমএসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইমব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এমএসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি ইমপ্লয় প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

এক্ষেত্রে আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯.৮৩ টাকা। এছাড়া আইএফআইএল ইসলামিক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্য ৯.৭০ টাকা,আইসিবি এমএসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৬৫ টাকা,ফনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.৮১ টাকা,প্রাইমব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এমএসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.২৯ টাকা,আইসিবি এমপ্লয়েজ প্রভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড-স্কীম ওয়ানের ৮.১১ টাকা এবং আইসিবি এমসিএল ২য় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি সম্পদ মূল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮.৬২ টাকা।

বিনিয়োগকারীদের পুঁজি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে এসেট ম্যানেজারদের দক্ষতার কথা বারবার বলা হলেও তা আলোর মুখ দেখছে না। এসেট ম্যানেজারদের কর্মদক্ষতা ও দূরদর্শিতার অভাবে সাধারন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি ঝুঁকির মূখে পড়ছে। এর পাশাপাশি এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর জন্য কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হলেও তা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। সর্বশেষ রাষ্ট্রয়াত্ব আইসিবি’র সাবসিডিয়ারি কোম্পানি আইসিবি এএমসিএল’এর অধীনে পরিচালিত ফান্ডগুলোরও এ দূরাবস্থা তাই বাজার বিশ্লেষকদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে।

বাজারে তালিকাভূক্ত অধিকাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর ফেসভ্যালুর নিচে থাকা প্রসঙ্গে ফান্ড ব্যবস্থাপকরা বাজারে বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা থাকার কথা উল্লেখ করলেও, সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নিজেদের ব্যর্থতার কথা বারবারই এড়িয়ে যাচ্ছেন। এনএভি এবং ইউনিট দর উভয়ই ফেসভ্যালুর নিচে থাকায় ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা একদিকে যেমন লেনদেনের মাধ্যেমে লাভবান হতে পারছেন না, তেমনিভাবে দীর্ঘমেয়াদে তা বিনিয়োগকারীদের পুঁজিকেও ঝুঁকির মূখে ফেলছে। জানা যায়, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ৪০টি ফান্ডের মধ্যে ২৭টি ইউনিটেরই দর ফেস ভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডের এমন দূরাবস্থার ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে এল আর গ্লোবাল এসেট ম্যানেজমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তা আদেল আহমেদ শেয়ারবাজারনিউজ ডট কমকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দূরাবস্থা কাটবে বলে মনে হয় না। কারন, বাজার ইনডেক্স যেখানে থাকার কথা তার তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া লেনদেনের পরিমানও যথেষ্ট নয়। বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি অর্থাৎ ইনডেক্স ও লেনদেন ভালো হলে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোও ভালো করবে। তাই ফান্ডগুলোর পারফর্মেন্স অনেকটাই নির্ভর করছে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর।’

শেয়ারবাজার/মু/ও

 

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.