শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে অধিকতর পেশাগত উৎকর্ষতা নিশ্চিত হয়েছে:শিল্পমন্ত্রী
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : আমাদের শেয়ার বাজার ডি-মিউচ্যুয়ালাইজড করা হয়েছে। এটি শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে অধিকতর পেশাগত উৎকর্ষতা নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব চার্টার্ড সার্টিফাইড একাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিল্পখাতের উন্নয়ন এবং আর্থিক পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেয়ার বাজার উন্নয়নে আমরা উন্নয়ন অংশিদারদের সাথে যৌথভাবে কাজ করছি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজার উন্নয়ন এবং সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মুদ্রা বাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরেও আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। চলতি বছরের বাজেটে আমরা কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়েছি। পাশাপাশি আমরা কর প্রশাসনকে স্বয়ংক্রিয় করার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পেশাদার একাউটেন্টগণ সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে অর্থনৈতিক সংস্কারে মূল্যবান পরামর্শ ও সহায়তা দিতে পারেন। এর ফলে শিল্প-কারখানায় দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হবে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ আমাদের সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার। এ অঙ্গিকার পূরণের জন্য দেশব্যাপী জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের ধারা জোরদার করা জরুরি। আর শিল্পায়নের সাথে বিনিয়োগ জড়িত। এ বিনিয়োগের সুফল পেতে হলে আর্থিকখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিল্পখাত বিকাশে দক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে। আর্থিক অব্যবস্থাপনা, হিসাব নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় ইত্যাদি যে কোনো বিনিয়োগকে অলাভজনক করে দিতে পারে। তাই শিল্পখাতে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপকদের ভূমিকা অনন্য। বিশেষ করে, সরকারি ও বেসরকারি শিল্প উদ্যোগে ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে এসিসিএ রা জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে পারেন। আর্থিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষ কর্পোরেট ব্যবস্থাপনায়ও আপনাদের (এসিসিএ দের) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
বাস্তবতা বিবেচনা করেই বিভিন্ন আর্থিক নীতি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, উন্নয়ন ও আর্থিক স্বচ্ছতা একই মুদ্রার দু’টি পিঠ। কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।
সরকার বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে আর্থিক ও শিল্পনীতি আধুনিকায়ন করছে বলে জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ও কর প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সংরক্ষিত খাত ছাড়া বাংলাদেশের যে কোনো শিল্পখাতে দেশি-বিদেশি যে কোনো উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করতে পারেন। আমরা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রানীতিও উদার করা হয়েছে। ফলে কোনো ধরনের প্রশ্ন বা বাধা ছাড়াই বিদেশি উদ্যোক্তারা তাদের মুনাফা নিজ দেশে নিতে পারছেন।
তিনি পেশাদার একাউন্ট্যান্ট তৈরিরও প্রসংশা করেন। তাদের রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং পাশাপাশি বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ব্রান্ডিং এর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসিসিএ বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার মিজ মহুয়া রশিদের সভাপতিত্বে বিট্রিশ হাই কমিশন ঊধ্বতন কমকতারা ছাড়াও দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবাজারনিউজ/অ