আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

কোলেস্টেরোল নিয়ে চিন্তা!

বশেয়ারবাজার ডেস্ক: খাবার খেতে বসেছেন? ভাবছেন মজা করে আজ সবটুকুই খাবেন? কিন্তু তখনই মাথায় চেপে বসে ডাক্তারের পরামর্শ- অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার থেকে বিরত থাকবেন। অগত্যা বেছে বেছে পরিমাণমতো খেয়েই উঠতে হলো।
কোলেস্টেরল নিয়ে এ উদ্বেগ আমাদের দীর্ঘদিনের। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য কোলেস্টেরল সম্পর্কে নতুন যে তথ্য দিয়েছে তা জানলে আপনার কোলেস্টেরল ভীতি কেটে যাবে।
নতুন প্রকাশিত মার্কিন খাদ্য নির্দেশিকায় যা বলা হচ্ছে তার মোদ্দাকথা হলো, যতো ইচ্ছা কোলেস্টেরল খান। প্রতিদিন ৩০০ গ্রামের নিচে কোলেস্টেরল গ্রহণের যে বাধ্যবাধকতা ১৯৭৭ সালে বেধে দেওয়া হয়েছিল, তা ভুলে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য পরামর্শক সংস্থা ডায়েটারি গাইড লাইনস অ্যাডভাইজরি কমিটি (ডিজিএসি) এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতি পাঁচ বছর পরপর সংস্থাটি নাগরিকদের স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নির্বাচনে নানা পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাদের পরামর্শক্রমেই মার্কিন খাদ্য কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বাজারজাত করে থাকে।
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত সংস্থাটির সর্বশেষ (২০১৫ সাল) সংস্করণে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর ফলে মার্কিনিদের চার দশকের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আসবে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।
ডিম, মাংস, সামুদ্রিক খাদ্যে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে। এসব খাবার অতিরিক্ত গ্রহণে রক্তে কোলেস্টেরেলের মাত্রাও বেড়ে যায়। ফলে হৃদযন্ত্রে নানা জটিলতা দেখা দেয়।
কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগের মতোই নানা কারণে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা তৈরি হয়। শুধুমাত্র কোলেস্টরেলযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে নয়।
এছাড়া, আমরা খাদ্য থেকে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল গ্রহণ করি তার চেয়ে বেশি আমাদের দেহ থেকেই তৈরি হয়। এসব বিবেচনায় ডিজিএসি এ সিদ্ধান্তে এসেছে- অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে কোলেস্টেরল এমন উপাদান নয়।
কোলেস্টেরল যে একেবারেই ক্ষতিকর নয়- এমনটিও বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এখনও যে কারো ধমনীতে এটি জমাট বেধে হৃদযন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে।
তাদের মতে, কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হবার কিছু নেই। তার চেয়ে বেশি গুণাগুণসম্পন্ন উপাদান যেমন: ভিটামিন ডি, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আশযুক্ত খাবার ইত্যাদি নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়ার এবং চিনি ও সোডিয়াম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এটিই ২০১৫ সালের সবেচেয়ে বড় লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে তারা উল্লেখ করেন।
এ সম্বলিত চূড়ান্ত প্রকাশনা এ বছরের শেষে দিকে প্রকাশ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস।

শেয়ারবাজার/রা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.