আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বেচ্ছাচারিতায় সূচক ও লেনদেনে ব্যাপক পতন

baশেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসই কমেছে সূচক। আর এ পতনের মাত্রাও ছিল তুলনামূলকভাবে অত্যাধিক। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহজুরে ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর আলোচিত সপ্তাহে লেনদেনে কিছুটা গতি কিছুটা কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৯.০৯ শতাংশ।

বাজারের পতন নিয়ে ডিএসই’র পরিচালক মো: রকিবুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভ্রান্তিমূলক ও অস্বচ্ছ বক্তব্য পুঁজিবাজারকে আরও নাজুক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। পরিণতিতে সূচকের বড় পতন ঘটছে। তাই তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য।

এদিকে শেয়ারবাজারের টানা পতন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান বলেন, বিএসইসি’র পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন ঘোষণায় কোন কাজ হবে না। তারা তো বাজারের ক্ষতি করেছেই এখন এসব বক্তব্য দিয়ে আরও ক্ষতি করছে।

তিনি বলেন, এখন পুঁজিবাজারে অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু ব্যাংক তো বাজারে নতুন বিনিয়োগ করবে না। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বক্তব্যেও নতুন বিনিয়োগের কোন নির্দেশনা নেই।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের (২৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল) ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৫৭ কোটি ৩৪ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৪ টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল  ১ হাজার ৯৩৩ কোটি ২ লাখ ৬ হাজার ৭১১ টাকা। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৭৫ কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার ২১৭ টাকা। লেনদেন কমার এ হার ৯.০৯ শতাংশ।

গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৯২.৮৩ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.৪৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৫.০৯ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৬৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির মধ্যে হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২৫৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির এবং লেনদেন হয়নি ৪টির দর।

এদিকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমার পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৪.৬৪ পয়েন্ট বা ৩.৩৩ শতাংশ।

অন্যদিকে আলোচিত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ৩.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া মোট ২৭৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ২২০টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ১৫টি কোম্পানির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.