আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জানুয়ারী ২০১৫, সোমবার |

kidarkar

শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারবে না বিএসইসি

বিএসইসি
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তিতে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ,সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ ও সিকিউরিটি বা সিকিউরিটি বাজার সম্পর্কিত প্রতারণামূলক এবং অসাধু ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে বিএসইসি। গত ১৭ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মূলধন মার্কেট অধিশাখার উপ-সচিব মো: নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, মোট ৫টি বিষয় উল্লেখ করে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য বিএসইসিকে নির্দেশ দিয়ে অর্থমন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,০১.সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ,১৯৬৯ এর ধারা ২এ(৪) অনুসারে কমিশন মূল্য নির্ধারণ করবে না। তবে অন্যান্য বিষয়াবলীর মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন,১৯৯৩ এর ‘মুখবন্ধ,ধারা ৮(১) এবং ধারা ৮(২)(ঙ) অনুযায়ী কমিশনের মূল উদ্দেশ্য,দায়িত্ব ও কার্যাবলী হচ্ছে-সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ,সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ ও সিকিউরিটি বা সিকিউরিটি বাজার সম্পর্কিত প্রতারণামূলক এবং অসাধু ব্যবসা বন্ধকরণ। ০২. উক্ত আইন ব্যতিরেকেও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ,১৯৬৯ এর ‘মুখবন্ধে’ কমিশনের উল্লেখিত দায়িত্বের পুনরাবৃত্তি রয়েছে। উল্লেখিত অধ্যাদেশ এর ধারা ২এফ এবং ধারা ১৮ অনুসারে কোনো ইস্যুয়ার মূলধন উত্তোলনের সময় মিথ্যা তথ্য প্রদান করবেন না বা কমিশনে কোন মিথ্যা তথ্য দাখিল করবেন না। এছাড়া, এ অধ্যাদেশ এর ধারা ২সিসি অনুসারে কমিশন ইস্যুয়ার কোম্পানিকে পুঁজি উত্তোলন বিষয়ে বিনিয়োগকারীগনের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় শর্তারোপ করতে পারেন। ০৩. অধিকন্তু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস,২০০৬ এর বিধি ৮(বি)(১৬)(১)(বি) অনুসারে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে একাধিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে। উক্ত পদ্ধতিসমূহের সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবহৃত উপাত্তের নির্ভুলতা পুঙ্খানুপঙ্খভাবে যাচাই করা আবশ্যক। ০৪. উপরোল্লিখিত আইন,অধ্যাদেশ এবং বিধির বাধ্যবাধকতানুসারে সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপাত্তসমূহ,পদ্ধতি এবং যৌক্তিকতা যাচাই করে সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ করা হলে সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষতি হবে মর্মে প্রতীয়মান হয়। ০৫. বর্ণিতাবস্থায়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ,১৯৬৯ এর ধারা ২এ(৪) এর বাধ্যবাধকতা অনুসারে কমিশন মূল্য নির্ধারণ না করলেও উপরে উল্লেখিত আইন,অধ্যাদেশ এবং বিধি অনুযায়ী উপাত্তসমূহের সঠিকতা,পদ্ধতিসমূহের যথাযথ ব্যবহার এবং ইস্যুয়ার কর্তৃক সিকিউরিটির যাচিত মূল্যের স্বপক্ষে যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করত: বিনিয়োগকারীগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সমীচীন হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.