হৃদরোগে আক্রান্ত ; ভুল ধারনাগুলো থেকে বেরিয়ে আসুন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: প্রতিনিয়ত হৃদরোগে মৃত্যু-হার বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন কারণে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বয়স বাড়ার পাশপাশি বাড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। আর এই বিষয়ে রয়েছে অনেক ভুল ধারণা। ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক দেবি শেঠির গবেষণার বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
১. শাক জাতীয় খাবার বেশ ভালো তবে, এমন খাবার যেমন, বেশি বেশি মাছ খাওয়া হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী নয়।
২. যে কোনো সুস্থ মানুষ হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। একে বলে নীরব আক্রমণ। আর এর ফলে ত্রিশোর্ধ্ব সকলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
৩. মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।
৪. জীবনে সব কিছু নিখুঁত হবে এমন ভাবা যাবে না। তাহলে হার্টের ওপর কিছুটা চাপ কমবে।
৫. জগিং করার চেয়ে ভালো হাঁটা। হৃদযন্ত্রের যত্ন নেয়ার জন্য কঠিন ব্যায়াম জরুরি নয়। জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় আর এর পাশাপশি জয়েন্টে ব্যথা হয়।
৬. নিম্ন রক্তচাপে যারা ভোগেন, তারাও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন, কিন্তু সেটা খুবই বিরল।
৭. কোলেস্টেরলের মাত্রা অল্প বয়স থেকেই আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। তবে সচেতন হতে হবে কিশোর বেলা থেকেই।
৮. হৃদযন্ত্রের জন্য সব থেকে ভালো ফল ও সবজি। আর সবচেয়ে খারাপ তৈলাক্ত খাবার। আর এই জন্য সূর্যমুখী অথবা জলপাই যাই বলুন সব তেলই খারাপ।
৯. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার ও কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। এছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও ভীষন জরুরি।
১০. হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাথমিকভাবে রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। তারপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তাহলে এ্যাসপিরিনের সাথে সাথে একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।
১১. ইসিজি ছাড়া হৃদরোগজনিত ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য করা ভীষন কঠিন।
১২. রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা (১২০/৮০) না থাকলেও অনেকে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে পারেন।
১৩. নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে করলে সন্তানের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। কেননা এটি জন্মগত অস্বাভাবিকতার দিকে ঠেলে দেয়।
১৪. অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খেলে হার্ট অ্যাটাক হয় এটা সঠিক নয়।
১৫. অ্যাজমা রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি এটা সঠিক নয়।
১৬. রক্তে শ্বেতকণিকা ও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে হৃদরোগ হবে এমন নয়। তবে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখা অনেক জরুরি।
১৭. যারা রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেশি এ ধারণাটি ভুল।
১৮. মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হয় এর কারণ প্রকৃতি মেয়েদেরকে ৪৫ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/মা