বাজার স্থিতিশীলতায় অর্থমন্ত্রীর কাছে সিএসইর ৯ দাবি
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চূড়ান্ত বাজেটে বাজার স্থিতিশীলতার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে ৯ দাবী জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। রোববার অনুষ্ঠিত সিএসই’র বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো: বর্তমানে পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এবং ডিমিউচ্যুয়ালাইজড এক্সচেঞ্জসমূহকে সম্ভাব্য কৌশলগত বিনিয়োগকারীগনের কাছে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে পাঁচ বছরের জন্য সম্পূর্ণভাবে কর অবকাশ প্রয়োজন, অর্থ আইন ২০১৫ অনুযায়ী ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অন্যান্য কোম্পানি সমূহের আয় বছর জুলাই-জুন করার যে বিধান করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন রকম জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যা স্টক মার্কেটের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অনুকূল নয়। অন্তত পক্ষে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং এক্সচেঞ্জ সমূহের জন্য এই বিধান প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জ এর ট্রেকহোল্ডারদের নিকট হতে বর্তমানে উৎসে কর হার ০.০৫ শতাংশ যৌক্তিকভাবে হ্রাসকরণ করা, লভ্যাংশ আয়ের উপর দ্বৈতকর নীতি পরিহার করলে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়বে বলে সিএসই মনে করে। সে কারণে আয়কর অধ্যাদেশের ধারা ৫৪ এবং ষষ্ঠ তফসিল পার্ট এ, প্যারা ১১ এর সংশোধন করে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা দিতে হবে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ আগ্রহ সৃষ্টিকরার লক্ষ্যে বর্তমানে মূলধনী লাভের উপর কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা, মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর কমানো, ব্যাক্তিগত কর দাতাদের কর মুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করার দাবি জানানো হয়।
বর্তমানে অভিবাসী ব্যাক্তিকে কারিগরি বা টেকনিক্যাল সেবা পরিশোধের উপর ২০% হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান আছে। এছাড়াও সফটওয়্যার মেইন্টেনেইন্স খাতে ৪.৫% হারে মূসক কর্তনের বিধানআছে। সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তি নির্ভর পুঁজিবাজার পরিচালনার কারণে এ ধারা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালন ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করছে। এই উৎসে কর যৌক্তিকভাবে ১০% এ কমিয়ে আনতে হবে। আয়কর অধ্যাদেশ ধারা ১৯ উপধারা ১১ এর প্রভিশো মোতাবেক কোন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যেকোন অংকের মুওকুফকৃত লোন এবং সুদ আয়কর অব্যাহতি পায়। উক্ত ধারার আলোকে ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক কোন বিনিয়োগকারীকে মুওকুফকৃত মার্জিন ঋণ এবং উহার সুদ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করযোগ্য সীমার বাহিরে রাখার বিষয়ে বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মত ট্রেকহোল্ডার কর্তৃক মুওকুফকৃত যেকোন পরিমাণ মার্জিন ঋণ এবং উহার সুদ কর আওতার বাইরে রাখা হোক এবং এই সুবিধা ব্যাক্তি এবং কোম্পানি করদাতা সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা দাবি সিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা