মুনাফা বন্টনের নীতিমালা: ভারতে হলেও আমাদের দেশে নেই
শেয়ারবাজার ডেস্ক: হাতে বাড়তি মুনাফা আসা সত্ত্বেও বহু সংস্থা শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে চায় না বলে অভিযোগ বহু দিনের। আর এ অভিযোগটি সব দেশেই কমবেশি রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই এবার কড়া হল ভারতের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)।
বাজারে শেয়ার মূলধনের ভিত্তিতে প্রথম ৫০০টি সংস্থার জন্য ডিভিডেন্ড বণ্টন নীতি তৈরি বাধ্যতামূলক করল তারা। এই নীতি তৈরি করা মানেই ডিভিডেন্ড দিতে বাধ্য থাকা নয়। তবে এর সাহায্যে কোন সংস্থার শেয়ার কিনলে কতখানি রিটার্ন আশা করা যেতে পারে, তার ছবি পাবেন বিনিয়োগকারীরা। সুবিধা হবে শেয়ার বাছাই করতে।
সেবির নির্দেশ, ওই নীতি সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে তাদের বার্ষিক রিপোর্টের আওতায়। তাতে জানাতে হবে—আর্থিক অবস্থা, কী কী কারণে শেয়ারহোল্ডাররা ডিভিডেন্ড আশা করতে পারেন অথবা পারেন না, বাড়তি মুনাফা কী ভাবে ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি।
বর্তমানে সব সংস্থার ক্ষেত্রেই আগের ৫ অর্থবর্ষের ডিভিডেন্ড নীতি ও তার হার প্রকাশের নিয়ম চালু রয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। সেবির দাবি, এখন ৫০০ সংস্থার জন্য নতুন বিধি চালু হলেও, আগামী দিনে ডিভিডেন্ড বণ্টন নীতি তৈরির বাধ্যবাধকতা কার্যকর হবে সব সংস্থার জন্যই।
অথচ আমাদের দেশে (বাংলাদেশ) মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মুনাফা বন্টনের আইন থাকলেও তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফা বন্টনের কোন নীতিমালা নেই। যে কারনে অনেক কোম্পানি ভাল মুনাফা করেও ডিভিডেন্ড দিচ্ছে নামমাত্র। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, সব কোম্পানিরই মুনাফা বন্টনের একটি নীতিমালা থাকা উচিত। যে কাজটি করতে হবে আমাদের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি-কেই।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ