প্রাতিষ্ঠানিক সক্রিয়তা সত্ত্বেও সূচকে সামান্য পতন: বিপরীত চিত্র সিএসইতে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় আজ শুরু থেকেই বিক্রয় চাপ ছিল ডিএসইতে। যে কারনে প্রথমদিকে সূচকের পতন ঘটে। কিন্তু এই পতন স্থায়ী হতে পারেনি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায়। তাদের শেয়ার কেনার কারনে বেলা ১২টা পর্যন্ত সূচক বাড়ে। তবে স্বল্পমেয়াদি মুনাফালোভী বিনিয়োগকারীদের কাছে তাদেরকেও হার মানতে হয়। এর জেরেই ডিএসই-তে সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ হয়।
এদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। কারন সিএসই-তেও লেনদেনের শুরু থেকে বিক্রয় চাপের কারনে সূচকে নিম্নগতি ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে এসে হঠাৎ সূচকের উল্লম্ফন ঘটে।
তবে ডিএসই-তে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বাড়লেও সিএসই-তে কমেছে।
এদিকে অর্থনীতির নীতি-নির্ধারকেরা মুদ্রানীতি ঘোষণা নিয়ে দোটানায় রয়েছেন। যে কারনে জুলাই মাসের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও এখনও জুলাই-ডিসেম্বর এ ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারনে এখনও মুদ্রানীতি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের শেষে বিনিয়োগকারীরা ভাল অর্থনৈতিক উপাত্তের দিক লক্ষ্য রাখছে। অর্থনীতির প্রধান খবর হলো ২০১৫-২০১৬ তে মূল্যস্ফীতি ৫.৯২ শতাংশ দাঁড়ায় যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ডিএসই:
এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে। তবে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৬ পয়েন্টে এবং ২.১৭ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ১৩৩টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৫৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ, শাহজিবাজার পাওয়ার, বিবিএসই, মবিল যমুনা, এসিআই ফর্মুলা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা এবং কাশেম ড্রাইসেল।
সিএসই:
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমান ২৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩০ কোটি টাকার শেয়ার। সুতরাং সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসই’র প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৬.০১ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪৭৭ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৯.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৯৩৫ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ০.৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৭.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১০৬টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৪৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজ, ইউনাইটেড এয়ার, ডোরিন পাওয়ার, ইসলামী ব্যাংক, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, এসিআই ফর্মুলেশন, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, হাইডেটবার্গ সিমেন্ট এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ