আজ: রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩ইং, ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জুলাই ২০১৬, শনিবার |


kidarkar

কি অদ্ভূত, নদী তাও আবার খুনী, সত্যিই রহস্যময়!


1466844863শেয়ারবাজার ডেস্ক: যুগ যুগ ধরে নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছে মানব সভ্যতা। স্থির শান্ত এক নদীর কাছে গিয়ে মানুষ পায় প্রশান্তি। তাই বুঝি মানুষ নদীকে নিয়ে এত গান, গল্প আর উপকথা গড়ে তুলেছে।

যেই নদী মানুষের জীবন, বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন।এই নদীকে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই।তবে পৃথিবীতে এমন এক নদী আছে যাকে ভয় পেতেই হবে। ভারতের দিল্লি অঞ্চলে রয়েছে এমন এক নদী যার কাছে যেতে মানুষ ভয় পায়। স্থানীয়রা বলেন, এর কাছে গেলে আর রক্ষা নেই। ছলনাময়ী জল তাকে টেনে নেবে নিজ বুকে। এজন্যই রোহিনী নদীর আর এক নাম খুনে নদী।
নদীতে জল খুবই সামান্য। তাইতো এখানে কারো ডুবে যাওয়ার ভয় নেই। তারপরও এই শুকিয়ে যাওয়া নদীটিতে নামলে মৃত্যু অবধারিত।নয়াদিল্লির রোহিণী এলাকার খুনি নদীও যেন অপরিসীম রহস্যের উৎস। লোকে বলে, এ নদীতে একবার নামলে কেউ আর জীবন্ত ফেরে না।
আসলে এর কারণ লুকিয়ে রয়েছে অতীত ইতিহাসে। এক সময় অত্যাচারী শাসকরা এই নদীকে ব্যবহার করত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করার স্থান হিসেবে। অপরাধীদের এখানে জীবন্ত ডুবিয়ে হত্যা করা হত। কখনও বা, মাথা কেটে লাশ ফেলে দেওয়া হত নদীর জলে।
এরপর সময়ের এর স্রোতের ধারায় কত জল বয়ে গিয়েছে। কালের গ্রাসে বুড়ি হয়েছে রোহিণী নদী। ধীরে ধীরে কমে এসেছে জলের পরিমাণ। এতটাই কমে এসেছে যে বড় জোর হাঁটু ডুববে। তারপরও নদীর জলে কেউ পা দিতে সাহস পায় না। এখানে পা দিলেই যে টেনে নেবে নদী। যদিও নদীতে চোরাবালি নেই, জলও গভীর নয়। তারপরও নাকি এখানে জলে ডুবে মানুষ মারা যায়।
তাই বুঝি এর জলে পা স্পর্শ করার সাহস পান না কেউ। এলাকার লোকজন এর তীরেও  খুব একটা যান না। তারা বলেন, কাছে গেলেই নাকি এই নদী ভুলিয়ে পালিয়ে তাদের জলে টেনে নেবে।
এছাড়াও অনেকে বলেন, খুনি নদীর ধারে সন্ধ্যার পরে গেলেই নানা অদ্ভুত অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়। কখনও শোনা যায় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলার শব্দ, কখনও কানে আসে হাসি বা কান্নার আওয়াজ। অনেকে এই সব আওয়াজ শুনে পালাতে গিয়েও পড়েছেন নদীতে। তারপর আর বেঁচে ফেরেননি। খুনি নদীর তৃষ্ণা অবশ্য কিছুতেই মেটে না। ঠিক সে অপেক্ষা করে থাকে নতুন কোনো শিকারের জন্য। ভুল করে কেউ কাছে গেলেই তাকে টেনে নেয় নিজের  বুকে।তার জন্য মৃত্যু আবধারিত হয়ে যায়।

শেয়ারবাজারনিউজ/মা


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.