চাপ সামলালেও প্রবণতা নিম্নমুখী
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়মিত নজরদারীতে চাপ সামলে নিচ্ছে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। তবে চাপ সামলাতে পারলেও সূচক ও লেনদেনে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা আসেনি। বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী রাখতেই বড় বিনিয়োগকারীদের সমন্বয় করে বাজার স্থিতিশীল রাখা হচ্ছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
ডিএসই’তে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ কার্যদিবসই কমেছে সূচক। বাকী ২ কার্যদিবস সূচক বাড়লেও এর মাত্র ছিলো খুবই সামান্য। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহজুরে ডিএসইতে সূচকের পতন ঘটেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। আর আলোচিত সপ্তাহে লেনদেনে পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৮ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৮ টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৫২ টাকা। সে হিসাবে আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৩০ কোটি ৮২ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪ টাকা। লেনদেন কমার এ হার ১৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৯১.২৯ শতাংশ ক্যাটাগরিভুক্ত ১.৬৪ শতাংশ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৬.৪৩ শতাংশ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৬৪ শতাংশ জেড ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির মধ্যে হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৭৮টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির এবং লেনদেন হয়নি ২টির দর। এদিকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমার পাশাপাশি সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭.৭৮ পয়েন্ট বা ০.৪৪ শতাংশ।
অন্যদিকে আলোচিত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ০.৩৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া মোট ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ১৬৭টির এবং দর অপরিবর্তীত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু/ওহ