স্বাস্থ্যকর খাবারের ৬টি উপায়
শেয়া্রবাজার ডেস্ক: যদি সুস্থ থাকতে চান, আপনার খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হতে হবে। আর সেজন্য খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা প্রায় সবাই জানি, তরতাজা শাকসবজি ও সালাদের মতো ভালো খাবার আর নাই। কারণ এতে মিষ্টি বা অন্যান্য খাবার মাত্রাতিরিক্ত খাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনি নিয়মিত ব্যায়াম, বাছাই করা খাবারদাবার, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল জেনে নেওয়া অথবা বাজে অভ্যাসগুলো ছেড়ে দেওয়ার মতো নানা বিষয় রপ্ত করেছেন। অভ্যাস পাল্টানো সত্যিই কঠিন, কিন্তু অসম্ভব তো নিশ্চয়ই নয়।
খাবারে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বেশি বেশি শরীরচর্চা করুন, মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন, আরও পরিপূর্ণ জীবন যাপন করুন। স্বাস্হ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ৬টি উপায় প্রয়োগ করা যায়।
চর্বিযুক্ত দুধ বর্জন
এতে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ কমবে এবং শরীর থেকে ক্যালরিও ঝরাতে পারবেন। ১ শতাংশ বা চর্বিমুক্ত দুধ পান করুন। অথবা দই খান।
লবণের ওপর নিয়ন্ত্রণ
লবণ যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। একেবারে লবণ ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করে দেখুন, একেবারেই কি অসম্ভব? মনে হয় না। চেষ্টায় সবই হয়। প্রয়োজনে বাসার লবণদানি খালি করে ফেলুন।
বাদাম ও বীজ খান
কাজুবাদাম, চীনাবাদাম, কাঠবাদাম, শিমের বীজ ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ই, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও আঁশ বা তন্তু রয়েছে। কয়েক রকমের বাদামে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলেও তা মূলত অসম্পৃক্ত। তাই বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর পছন্দ।
দুপুরের ভারী খাবার বাদ
সপ্তাহে এক দিন দুপুরের নিয়মিত খাবারের বদলে অন্য কিছু খান এবং পরিমাণে কম খান। বাইরে কোথাও গেলে আপনি নিশ্চয়ই এমনটা করেন। এতে বৈচিত্র্য যেমন আসে, রুচিরও একটু বদল হয়।
শাকসবজি ও ফলমূল
দিনে অন্তত ৫ রকমের শাকসবজি ও ফলমূল খান।এতে আপনার খাবারে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ যেমন বাড়বে, ক্যালরির পরিমাণও কমবে। হিসাব করে দেখুন, সপ্তাহে আপনার কী কী শাকসবজি খাওয়া হয়। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজির পরিমাণ বাড়ান।
পছন্দনীয় ও স্বাস্থ্যকর পরিকল্পনা
ভালো খাবার আমাদের সব রকমের অনুভূতি ও চেতনাকে উদ্দীপিত করে। কারণ এ রকম খাবার দেখতে সুন্দর, সুবাস ছড়ায় এবং স্বাদেও অতুলনীয়। সব মিলিয়ে আমাদের পরিতৃপ্তি দিতে পারে। অনেক সময় ভালো খাবারের কথা ভাবলেই আনন্দময় অনুভূতি তৈরি হয়।
শেয়ারবাজার/রা