বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী: আজহারউদ্দিন
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ নিয়ে কথার লড়াই জমে উঠেছে প্রতিবেশী ২ দেশে।প্রিয় দল ভারত হলেও বাংলাদেশের বর্তমান দলকে ঠিকই ভয় পাচ্ছে ভারত। এখন থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে ভারত। এখনও তাদের মনে পড়ে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের কথা। তবে, এবারের বাংলাদেশ দলকেই বেশি শক্তিশালী মনে করছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন।
শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিং, বীরেন্দর শেবাগ, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের নিয়ে স্বপ্নের দলই ছিল ভারতের। সেই শক্তিশালী ভারত দলকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেয় বাংলাদেশ। সেবার ভারতকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে নাম লিখিয়ে নতুন ইতিহাস। এরপর সুপার এইটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকেও। বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ সেটাই। তবে ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের বিশ্বাস ২০০৭-এর পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য আছে মাশরাফির বর্তমান দলটার। মাশরাফি বিন মর্তুজার দলটা যে ২০০৭ বিশ্বকাপের চেয়েও ভালো স্মরণ করিয়ে দিলেন সেটা।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন বলেন, “এই বাংলাদেশ দলকে আমার ২০০৭-এর চেয়েও বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে। দলটার ব্যাটিং বেশ ভালো। মাহমুদুল্লাহ দ্রুত রান তুলতে পারে। সাকিবের মতো বিশ্বমানের অলরাউন্ডার আছে ওদের। পেসাররাও ভালো গতিতে বল করছে। ওরা যদি ভারতের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে স্নায়ুর চাপে না পড়ে তাহলে সমান তালে লড়াই করবে।”
বাংলাদেশের সেই দলে খেলেছিল বর্তমান দলের মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক। এবারের বিশ্বকাপে তাঁদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদরা। সেই সাথে দলের ভারসাম্য বেড়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে তাই বাংলাদেশকে হালকাভাবে না নেওয়ার পরামর্শ আজহারের। তা ছাড়া টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ১৫ বছর হয়ে গেলেও ভারত সফরে আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ। আইপিএলেও সেভাবে সুযোগ হয় না বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। এসব সরাসরি না বললেও ভারতীয় একটি দৈনিকে নিজের লেখা কলামে আজহারের উপলব্ধি, “ভারতের বিপক্ষে বরাবরই একটা বাড়তি তাগিদ নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আমার মনে হয় প্রতিবেশী দেশ বলে নিজেদের প্রমাণ করার ইচ্ছাটা আরো বেশি করে তৈরি হয় ওদের মধ্যে। বিশ্বকাপে ভারতের কাঁটা হওয়ার ইতিহাসও আছে বাংলাদেশের। ২০০৭-এ ওই ম্যাচটা হেরেই তো গ্রুপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত।”
আজাহার আরও বলেন,“আমি অধিনায়ক থাকার সময় ছোট দলগুলোর বিপক্ষে বেশি সতর্ক থাকার চেষ্টা করতাম। সবাইকে মনে করিয়ে দিতাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছোট দল বলে কিছু নেই।” বড় দলের বিপক্ষে জিততে পারলে সবাই যে নায়ক হয়ে যাবে, সেই ভাবনা নিয়েই খেলে ওরা। আর তাই মরণ কামড় দেওয়ার জন্য মরিয়া থাকে। বাংলাদেশও মরণ কামড় দিতে চাইবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
শেয়ারবাজার/রা