বাজার স্থিতিশীলতায় আইসিবি-মার্চেন্ট ব্যাংক বৈঠক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: নেগেটিভ ইক্যুইটি অবলোপনের জন্য সহজ শর্তে ঋণ চাচ্ছে মার্চেন্ট ব্যাংক। এর জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের উদ্যোগে একটি বিশেষ ফান্ড তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি শেয়ার দরের নিম্নমুখীতা রোধে বাই-ব্যাক আইন চাচ্ছেন মার্চেন্ট ব্যাংকাররা। অপরদিকে পুঁজিবাজারের টানা অচলাবস্থায় প্রায় সকল মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এসকল ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব করেন তারা।
আজ ২২ মার্চ রবিবার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা বাড়াতে করণীয় সম্পর্কে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বিএসইসি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আইসিবি-সহ সংশ্লিষ্টদের এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভাটি আয়োজন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ(আইসিবি)।
এ সময় বক্তারা বলেন, ব্যাংকের উচ্চসুদ এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানে (সাবসিডিয়ারি) নতুন বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি-নিষেধ রয়েছে। এ কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো মানি মার্কেট থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না। এ অবস্থায় নেগেটিভ ইক্যুইটিতে ধুকতে থাকা অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংক নগদ অর্থ সঙ্কটে ভুগছে। পরিণতিতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তাদের মতে, যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক নিজ উদ্যোগে মূলধন বাড়িয়ে নেগেটিভ ইক্যুইটি অবলোপন করছেন তাতে ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই নেগেটিভ ইক্যুইটি অবলোপনে একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বা নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে।
এদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকারদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ফায়েকুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য আলাদাভাবে একটা বন্ড গঠন করা যেতে পারে। এটা গঠন করা হলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এই বন্ড থেকে সহজ শর্তে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। এর অংশ হিসেবে বিজিএমইএ বা এ জাতীয় সংস্থা গঠন করা যেতে পারে। যাদের কাজ হবে সঙ্কটকালে পুঁজিবাজারকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এনে দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হিসেবে আইসিবি তার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করছে। অন্য যারা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী রয়েছেন তাদেরকে উৎসাহী করার দায়িত্বও সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে। তাছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোকেই নিতে হবে।
শিগগিরই মার্চেন্ট ব্যাংকের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রকদের সাথে আলোচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় বিএসইসি’র মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান বলেন, ধস পরবর্তী পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উচিত হতাশা ঝেড়ে আশার পথে চলা।
শেয়ারবাজার/তু/সা