শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বার্ষিক নিট মুনাফা থেকে ২০ শতাংশ অর্থ সংরক্ষিত তহবিলে জমা রেখে বিনিয়োগ কার্যক্রমে ব্যবহার করতে পারবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

বিধিমালাটি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (নিট মুনাফা নির্ধারণ, সংরক্ষিত তহবিলে জমার পরিমাণ নির্ধারণ, ঋণ পরিশোধ, উদ্বৃত্ত অংশ, লভ্যাংশের পরিমাণ ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বণ্টনের পদ্ধতি) বিধিমালা, ২০১৬ নামে অভিহিত হবে।

বিধিমালায় নিট মুনাফা সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইসিবিকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি এবং অন্য ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা বাড়াতে নিট মুনাফার পাঁচ শতাংশ ঋণ পরিশোধ রিজার্ভে স্থানান্তর করতে হবে। করপোরেশনের বার্ষিক নিট মুনাফা থেকে সংরক্ষিত তহবিলে জমা এবং ঋণ পরিশোধ রিজার্ভে স্থানান্তর করার পর নিট মুনাফার বাকি অংশ উদ্বৃত্ত অংশ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। আর উদ্বৃত্ত অংশ থেকে করপোরেশন ও তার শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ বিবেচনায় নগদ বা স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

বিধিমালায় আরো বলা হয়েছে, আইসিবি ঘোষিত লভ্যাংশ করপোরেশনের শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন দিতে হবে। সে সঙ্গে আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঘোষণা করতে হবে। রেকর্ড ডেটে শেয়ার ধারণকারী শেয়ারহোল্ডাররাই লভ্যাংশ পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে।

বিধিমালায় নিট মুনাফা সম্পর্কে বলা হয়েছে, করপোরেশনের ব্যবসায়িক কার্য পরিচালনার পর বছর শেষে মোট আয় থেকে মোট ব্যয় বাদ দিয়ে নিট মুনাফা নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, বিধিমালায় মোট আয়ের অর্থ বলতে  করপোরেশনের সুদ, লভ্যাংশ, মূলধনী মুনাফা, ফি কমিশন ও সার্ভিস চার্জ এবং অন্য আয় এবং মোট ব্যয় বলতে করপোরেশনের বেতন-ভাতা, উৎসব বোনাস, গ্রাচ্যুইটি, অফিস বা গোডাউন ভাড়া, আয়কর, স্থায়ী সম্পদ বিমা, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ওয়াসা, মামলা বা আইনগত কার্যক্রম পরিচালনা, সুদ ব্যয়, পোস্টেজ, স্ট্যাম্প, টেলিফোন, মোবাইল, নিরীক্ষা ফি, মনিহারি, মুদ্রণ, বিজ্ঞাপন, পরিচালকদের সম্মানী, মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও অবচয়, ব্রোকারেজ কমিশন, ঋণ অগ্রীম ও বিনিয়োগ এবং আনুষঙ্গিক কাজে ব্যয়িত অর্থকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর