আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার |

kidarkar

অবশেষে ভক্তদের কাঁদিয়ে অভিনয় থেকে বিদায় নিলেন শ্রাবন্তী!

downloadশেয়ারবাজার ডেস্ক: অবশেষে লাখো ভক্তদের চোখের জলে সিক্ত করে বিদায় নিলেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। চলে গেলেন শ্রাবন্তী না ফেরার দেশে। হয়ত ‌আর কোনোদিনই তিনি ফিরবেন না। কারণ এযুগে আমেরিকায় যাবার কপাল কয়জনেরই বা হয়?

গত ছয় বছর ধরেই ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী অভিনয়ের বাইরে। স্বামী, সংসার আর সন্তানদের নিয়েই তিনি ব্যস্ত। এতদিন তার অভিনয়ে ফেরার গুঞ্জন শোনা গেলেও তা হয়ত আর হচ্ছে না। কারণ শ্রাবন্তী ও তার স্বামী খোরশেদ আলম ইমিগ্রেন্ট নিয়ে আমেরকিায় স্থায়ী হয়ে গেছেন তিনি। সাথে তার দুই কন্যা রাবিয়া আলম ও আরিশা আলমও আছে।

সাংবাদিকের বিশেষ তদন্তে জানা গেছে, আমেরিকাতে শ্রাবন্তীর বড় বোন সাবেরা আলম আছেন। শ্রাবন্তী প্রথম আমেরিকাতে গিয়ে মেরিল্যান্ডে বসবাস করবেন। এরপর অন্য কোথাও স্থায়ী হবেন।

এ বিষয়ে শ্রাবন্তী জানান, ‘সত্যি বলতে কি জীবনের অর্ধেকটা সময়ই তো আসলে মিডিয়াতে কাজ করেছি, অভিনয় করেছি, বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করেছি। সুখে-দুঃখে মিডিয়ার মানুষদের সঙ্গেই সময় কেটেছে আমার। তাই প্রতি মুহূর্তে এই অঙ্গনটাকে খুব মিস করি এবং করবও, এটাও সত্যি। কিন্তু যেহেতু একজন নারীর পরিপূর্ণতা আসে সংসার জীবনে, তাই সেই সংসার জীবনকে গুরুত্ব দিয়ে আমার দুই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমেরিকায় চলে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘জীবনে আসলে হয়তো প্রত্যেক মানুষেরই অনেক কিছু ইচ্ছে করে। কিন্তু সবসময় মানুষ তার ইচ্ছেমতো চলতে পারে না। আমার ভক্ত, দর্শক, সহকর্মী এবং আমার সাংবাদিক ভাই-বোনদের বলছি, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালো থাকতে পারি। আর হ্যাঁ, সাংবাদিকদের বলছি, মিডিয়ার পুরনো মুখদের নিয়ে আপনারা মাঝেমাঝে যে লীলাখেলা দেখান। তা সত্যিই খুব প্রশংসনীয়।’

২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর খোরশেদ আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। এরপর থেকেই তিনি অভিনয়ের বাইরে। আর এখন তো পুরাই নেটওয়ার্কের বাইরে। জানা যায়, এবছরের এপ্রিল মাসেই নাকি তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন না ফেরার দেশ আমেরিকাতে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.