দূর হবে খুশকি!
মাথার ত্বকের খুশকির সঙ্গে কমবেশি সবারই আছে পরিচয়। তবে খুশকি হতে পারে শরীরের অন্যান্য অংশেও। ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাকির হোসাইন বলেন, শরীরের যেসব অংশে চুল আছে, সেসব জায়গায় খুশকি হতে পারে। চোখের পাপড়ি, ভ্রু কিংবা শরীরের অন্য অংশও আক্রান্ত হতে পারে খুশকিতে।
চুলের খুশকি
চুল পড়ে যাওয়ার বড় একটি কারণ খুশকি। এর কারণে পড়তে হতে পারে অস্বস্তিকর অবস্থায়। খুশকি ছড়িয়ে যেতে পারে পুরো শরীরে। শিশু ও নবজাতকেরও হতে পারে খুশকি। খুশকির সমস্যা হলে খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে এসব শ্যাম্পু। এতে জিংক পাইরিথিওন, কিটোকোনাজল, সেলেনিয়াম সালফাইড কিংবা টার নামক পেট্রোলিয়াম পদার্থের যেকোনো একটি থাকলেই সেটি খুশকিনাশক শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ১০ থেকে ১৪ দিন পর শ্যাম্পুটি এক দিন পর পর ব্যবহার করতে থাকুন। এর কিছুদিন পর থেকে শ্যাম্পুটি প্রতি সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করুন। খুশকির সমস্যা সম্পূর্ণভাবে ভালো না হওয়া পর্যন্ত শ্যাম্পুটির ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে।
চোখের খুশকি
মার্জিনাল ব্লেফারাইটিস নামক রোগে চোখে খুশকি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে চোখে খসখসে অনুভূতি হতে পারে। এ ছাড়া চোখে খুশকি থাকায় নিজেকে ভালো দেখাচ্ছে না, এমন এক অস্বস্তি পেয়ে বসতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের। চোখের খুশকিতেও কাজ করতে পারে মাথার ত্বকে ব্যবহৃত খুশকিনাশক শ্যাম্পু। মাথায় শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর ফেনা চোখে লাগানো যেতে পারে। চুল ধুয়ে ফেলার সময় চোখে লাগানো ফেনা ধুয়ে ফেলুন। তবে এভাবে যদি চোখের খুশকি দূর না হয়, সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো চোখে কিছু অয়েনমেন্ট লাগাতে হতে পারে। তবে কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব অয়েনমেন্ট চোখে লাগানো উচিত নয়।
শরীরজুড়ে খুশকি যখন
খুশকির সমস্যা চরম আকার ধারণ করলে শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রেও আক্রান্ত স্থানে খুশকিনাশক শ্যাম্পু লাগাতে হবে। তবে এভাবে খুশকি দূর করা না গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
শিশু ও নবজাতকের জন্য
শিশু ও নবজাতকের খুশকির সমস্যায় অবশ্য বড়দের জন্য ব্যবহৃত খুশকিনাশক শ্যাম্পু লাগানো ঠিক নয়। বরং এ ক্ষেত্রে শিশুদের উপযোগী শ্যাম্পু দু–তিন মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
খুশকি প্রতিরোধে
খুশকি প্রতিরোধ করতে চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করুন। তবে খুশকিনাশক শ্যাম্পু নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকলে এর বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই খুশকি প্রতিরোধে এসব শ্যাম্পু ছাড়া অন্যান্য সাধারণ শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
দুশ্চিন্তার কারণে খুশকির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে চেষ্টা করুন সব সময়।