উভয় বাজারে কমেছে সূচক ও লেনদেন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ডিভিডেন্ডের মৌসুমেও পুঁজিবাজারে চলছে মন্দা। এ মন্দা পরিস্থিতে কমছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। দরপতনের গ্রাঁস থেকে কিছুতেই যেন মুক্তি মিলছে না। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, এক-পা এগোয় তো তিন পা পিছিয়ে যায় বাজার। অর্থাৎ সূচক একদিন বাড়ে তো তিন দিন কমে। যতটুকু সূচক বাড়ছে তার চেয়ে বেশি কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন। দিনভর মিশ্র প্রবণতা থাকলেও শেষ হয় নিম্মমুখী প্রবণতায়। সোমবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশীরভাগ কোম্পানি শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও উভয় বাজারে কমেছে লেনদেন। চলমান দর পতনের ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের পুঁজিবাজার আবারও রাহুগ্রাঁসে যাবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৩৯৭ পয়েন্টে। দিনভর ডিএসইতে মোট ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ২১৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩০৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
এর আগে রোববার ডিএসইতে ব্রড ইনডেক্স অবস্থান করে ৪৪৩১ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১১ কোটি ৬১ লাখ ২২ হাজার টাকা। সে হিসেবে সোমবার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭ হাজার টাকা।
এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮১৭৪ পয়েন্টে। দিনভর সিএসইতে মোট ২৩৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১৭৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
এর আগে রোববার সিএসই’র সিএসইএক্স অবস্থান করে ৮২৫৭ পয়েন্ট। ওই দিন লেনদেন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজার/মু