কেপিপিএলের বিরুদ্ধে এনবিআরের ব্যাখ্যা প্রদান
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: রাজস্ব বোর্ড বড় ধরনের কর ফাঁকির যত ঘটনা উদ্ঘাটন করেছে, তার মধ্যে খুলনা প্রিন্টিংয়ের কর ফাঁকির ঘটনাটি অন্যতম ঘটনা বলে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এমনকি ব্যাখ্যায় এনবিআরের বিরুদ্ধে কোম্পানির দেওয়া বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে।
এনবিআর জানায়, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড একটি অত্যন্ত বৃহৎ পর্যায়ের রাজস্ব ফাঁকি প্রদানকারী কোম্পানি। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ২৭১ কোটি ৭২ লক্ষ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। আদালতের নির্দেশে ফাঁকি দেওয়া কর ও তার জন্য আরোপিত ১০০ কোটি টাকার জরিমানাসহ প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা আদায়ে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে বন্ড লাইসেন্স বাতিল ও মালামাল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগও বিচারাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং তাদের উৎপাদন বন্ধের কারণ হিসেবে ডিএসইতে একটি নোটিস প্রদান করে। আর তাতে উৎপাদন বন্ধের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে এনবিআরের অসহযোগিতাকে দায়ী করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
নোটিশে কোম্পানিটি বলেন, রাজস্ব বোর্ড গত ২৬ আগস্ট, ২০১৫ কেপিপিএলের বন্ড লাইসেন্স ও বিআইএন (বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) লক করে দেয়। এর বিরুদ্ধে কোম্পানিটি চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা কাচামাল খালাসের জন্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে। উচ্চ আদালত কাস্টমসের এ কার্যক্রমকে অবৈধ ও অনৈতিক বলে উল্লেখ করে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার আমদানিকৃত পন্য ও বন্ড ওয়্যারহাউজে রক্ষিত ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার কাচামাল ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেয়। অথচ তা ছাড় না দেয়ার কারনে কাচামালগুলোর মান ক্রমশ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর কোম্পানি গত ১লা জানুয়ারী ২০১৬ উচ্চ আদালতে যায় এবং সেখান থেকেও কাচামাল ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পন্যগুলো ছাড়ার নির্দেশনা থাকা সত্বেও এনবিআর এবং কাস্টমস না পন্য ছাড় দিয়েছে, না তাদের বন্ড লাইসেন্স রিনিউ করেছে। ফলে কোম্পানিটি ঐ ২ প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারনে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। এ অবস্থায় আর কোন বিকল্প না থাকায় কোম্পানিটি অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর