আজ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার |

kidarkar

কেন আইপিও কমে গেল? আইএমএফের প্রশ্নের উত্তর দিল বিএসইসি

BSECশেয়ারবাজার রিপোর্ট: উন্নয়ন সহযোগী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পুঁজিবাজারে আইপিও’র মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের অনুমোদন কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানায়, আইপিও আবেদন কমে গেছে। কারণ আইপিও আইন পরিবর্তন হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনে আইএমএফের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিএসইসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ সময় বিএসইসির পক্ষ থেকে দেশের পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সংস্কার ও অগ্রগতির এবং গেল বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন কেন কমে গেল তার জবাব দেওয়া হয়। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল দাবী করে বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কেও আইএমএফের প্রতিনিধি দলকে অবহিত করা হয় বলে বৈঠক শেষে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান এ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠকে, আইএমএফের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান ব্রায়ান অ্যাটকিন, জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জিরি জোনাস এবং বাংলাদেশে আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেলা কায়েন্দেরা। অন্যদিকে বিএসইসির পক্ষে চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, মো. আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক স্বপন কুমার বালাসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেন ২০১৬ সালে আইপিও কমে গেল? জবাবে কমিশন জানায়, সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলসের কারণেই আইপিও অনুমোদন কমে গেছে। কারণ যেসব কোম্পানি পুরনো নিয়মে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় ছিল, সেগুলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন করে আবেদন করতে হয়েছে। সংশোধিত আইনে আরো বেশি ডিসক্লোজার (কোম্পানি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য) সংযোজন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় সেগুলো পরিপালনে কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারদের নতুন হিসাব কষতে হচ্ছে। তবে এ ক্ষতি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সরবরাহের মাধ্যমে কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল বলে, ধস পরবর্তী একটা বড় সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম ছিল। গত কয়েক বছরে বিদেশীদের বিনিয়োগ বাড়ছে।  বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের জন্য এটা ভাল।

সাইফুর রহমান বলেন, আইপিও আবেদন কমে গেছে। কারণ পাবলিক ইস্যু রুলস সংশোধনের ফলে নতুন করে আবার আবেদন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় পুরনো গুলো বাতিল হয়ে গেছে। তাদেরকে আমরা বলেছি পুঁজিবাজার মন্দা কাটিয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। আর এ বাজারকে আরো এগিয়ে নিতে আমাদের মাস্টারপ্ল্যান জানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজার থেকে ২০১৬ বছরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১১ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো বাজার থেকে মোট ৯০৯ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলেছে।  ২০১৫ সালে পুঁজিবাজার থেকে আট কোম্পানি ও তিন মিউচুয়াল ফান্ড ৮৩০ কোটি ৭২ লাখ ২১ হাজার ২০০ টাকা সংগ্রহ করে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.