ব্যবসা বাড়াতে সিএসই’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ও নেটিং সুবিধা প্রয়োজন, শুনিয়েছে বিএসইসিকে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ক্রমাগত লোকসান দিয়ে যাচ্ছে। আর এ অবস্থা কাটাতে ব্যবসা বাড়াতে হবে। এর জন্য বেশ বিছু প্রস্তাবনার কথা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে শুনিয়েছে সিএসই’র পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রবর্তন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূল্যসংবেদনশীল ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল করতে পিডিপি নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, একই স্ক্রিপে নেটিং সুবিধা বহাল, লেনদেনের সময় বাড়ানো, ডিএসই’র শাখায় ইন্টারনেট ট্রেডিং সুবিধা।
১২ মার্চ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. একে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে সিএসইর পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বিএসইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যায়। এ সময় সিএসইর পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক বেশ কিছু প্রস্তাব কমিশনকে শোনানো হয়। জবাবে কমিশন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে বলা হয়, কৌশলগত বিনিয়োগকারী খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।
বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, বৈঠকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের দৃশ্যমান অগ্রগতির জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটির পর্ষদকে। তাদের প্রস্তাবনাগুলোও আমরা শুনেছি।
বৈঠকে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সিএসই জানায়, এরই মধ্যে আইসিবির সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগকারী-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে উভয়পক্ষই পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা চলছে। শর্তের ব্যাপারে উভয়পক্ষের মধ্যে মতৈক্যের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাছাড়া দেশী ও বিদেশী বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে প্রাথমিক আলোচনাও অব্যাহত রয়েছে। জুনের মধ্যেই এ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব জানিয়েছে বিএসইসিকে।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, বৈঠকে শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিএসইসির কাছে আমরা বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলেছি। আমাদের ব্যবসা বাড়াতে বেশ কিছু দাবী দাওয়া জানানো হযেছে। এর মধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রবর্তন, পিডিপি নামক সিএসইর একটি নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন, লেনদেনের সময় বাড়ানো এবং নেটিং সুবিধা পুনর্বহালের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিদ্যমান বুক বিল্ডিং আইনে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণের যে পদ্ধতি রয়েছে, সেটিকে আরো বাস্তবসম্মত করার প্রস্তাব দিয়েছে সিএসই। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিদ্যমান যে ক্যাটাগরি রয়েছে, সেটিতে পরিবর্তন করে সব ক্যাটাগরির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন এবং নিষ্কিৃয় ট্রেকহোল্ডারদের স্বক্রিয় করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৈঠকে সিএসই’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারম্যান ড. এ কে আবুল মোমেন, মেজর জে. মোহাম্মদ শামিম চৌধুরী, প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম, ড. মনিরুল ইসলাম মাহমুদ, প্রফেসর এস এম সালামত উল্লাহ ভূইয়া, প্রদীপ পাল, মির্জা সালমান ইস্পাহানী, সামসুল ইসলাম, মেজর (অব:) এমদাদুল ইসলাম এবং সাইফুর রহমান মজুমদার। বিএসইসি’র পক্ষ থেকে ছিলেন- চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন এবং অন্যান্য কমিশনারগণ।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ