হ্যাপির দায় করা মামলায় রুবেলের অব্যাহতির ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল
শেয়ারবাজার ডেস্ক: মডেল ও চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজ সোমবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) আদালতে দাখিল করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত অভিযোগপত্রটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহার (সিএমএম) আদালতে পাঠান। এরপর মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এ স্থানান্তর করা হয়। রুবেলকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে দাখিল করা পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ওই ট্রাইব্যুনালে।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর মামলার বাদী নাজনীন আক্তার হ্যাপির মতামতের ওপর নির্ভর করছে এ মামলার ভবিষ্যৎত। চুড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপী প্রাপ্তবয়স্কা। মিডিয়াতে কাজ করা একজন সচেতন আধুনিক নারী।
প্রাপ্তবয়স্কা হওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই তিনি যদি রুবেলের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন, সেটা তার সম্মতিতেই হয়ে থাকতে পারে। ধর্ষণের সংজ্ঞানুযায়ী বিবাহের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমন কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই এ মামলার দায় হতে তাকে অব্যাহতিদানের প্রার্থনা জানানো হলো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ মাস আগে রুবেলের সঙ্গে হ্যাপির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হ্যাপির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন রুবেল। এ সময় হ্যাপি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রুবেল তা এড়িয়ে যান।
এ ঘটনার পর ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৭) নাজনীন আকতার হ্যাপি (১৯)।
শেয়ারবাজার/রা