আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার |

kidarkar

এক নজরে শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়িক অবস্থা

shamsul-alamin-real-estate-ltdশেয়ারবাজার রিপোর্ট: বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাচ্ছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট। এজন্য আগামী ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে রোড শো আয়োজন করা হয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের ইলিজিবল ইনভেষ্টরদের উপস্থিততে রোড শোতে আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।

কোম্পানির প্রসপ্রেক্টাস থেকে জানা যায়, আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। আর উত্তোলিত এ টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ, তাদের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আইপিওতে খরচ করবে।

বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি টাকা।

কোম্পানির বিগত ৫ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন, ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪২.৪২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৯০ টাকা। এর আগের সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৪০.৫২ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.২৫ টাকা।

এছাড়া ২০১৪ সালে কোম্পানির ইপিএস ছিল ২.৮৯ টাকা  এবং এনএভি ছিল ৪০.৫২ টাকা। ২০১৩ সালে ইপিএস ছিল ৩.১৮ টাকা  এবং এনএভি ছিল ৩৯.৫৪ টাকা। আর ২০১২ সালে ইপিএস ছিল ২.৯৬ টাকা  এবং এনএভি ছিল ৩৬.৩৬ টাকা।

এদিকে, গত ছয় মাসে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৫১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৩.৯৩ টাকা।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেড। রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এ বিষয়ে অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা কাজ করছি। কোম্পানিটি বর্তমানে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এর মধ্যে ৬টির কাজ চলছে। বাকী প্রকল্পগুলোর জন্য পুঁজি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আইপিওতে যেতে চায় কোম্পানিটি। এর বাইরে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ২০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা আছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আইপিও অনুমোদন হলে পকিল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, আইন অনুযায়ী বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৯ এপ্রিল হোটেল রেডিসন ব্লুতে রোড শো অনুষ্ঠিত হবে।

কোম্পানির এই রোড শোতে অংশ নেবে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলারস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, রিকগনাইজড পেনশন অ্যান্ড প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং কমিশনের অনুমোদিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.