পোশাক শ্রমিকদের মারধর করে মালিকপক্ষ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা এখনো বাজে কর্মপরিবেশ ও মালিকপক্ষের হাতে মারধরের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রকাশিত ‘মাথা তুলে দাঁড়ায় যারা, ভোগান্তির শিকার সবচেয়ে বেশি তারা: বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় শ্রমিক অধিকার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের বিভিন্ন বিষয়বস্তু তুলে ধরেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রানাপ্লাজা বিপর্যয়ের ঘটনায় ১ হাজার ১০০ এর বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর দুই বছরে বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে নিরাপদ করার বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায়, তাদের সংগঠনের অধিকার এবং উন্নত কর্মপরিবেশ তৈরিতে সরকার ও পশ্চিমা খুচরা বিক্রেতাদের আরো অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে এবং তা করা উচিৎ।
রবার্টসন বাংলাদেশ সরকার, কারখানার মালিক ও পশ্চিমা খুচরো বিক্রেতাদের শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কারখানা মালিক ও সুপারভাইজাররা শ্রমিক নেতাদের প্রায়ই বেআইনি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেন। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে।’
রবার্টসন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি আরেকটি রানাপ্লাজা বিপর্যয় এড়াতে চায়, দেশটির উচিৎ আরো কার্যকরভাবে এর শ্রম আইন প্রয়োগ করা। এটি নিশ্চিত করতে হবে যেন শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিয়ে কথা বলায় তাদের যে অধিকার রয়েছে, সেটি কোনো রকম প্রতিশোধ ও চাকরিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা না করেই নির্ভাবনায় প্রযোগ করতে পারে। যেসব কারখানা ব্যবস্থাপক শ্রমিকদের আক্রমণ করে এবং তাদের ইউনিয়ন গঠনের অধিকার বঞ্চিত করে, বাংলাদেশ যদি তাদের জবাবদিহিতার আওতায় না আনে তাহলে সরকার ক্রমাগতভাবে আরেকটি বিপর্যয়ের ক্ষেত্রগুলোকেই উৎসাহিত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সলিডারিটি সেন্টার কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এলেঞ্জো, সলিডারিটি সেন্টার কান্ট্রি প্রোগ্রাম অফিসার রোকসানা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাবুল আখতার প্রমুখ।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু