পতন ঠেকাতে কোন উদ্যোগই কাজে আসছে না
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: গত দুই মাসে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের ব্যাপক ভরাডুবি ঘটেছে। সূচকের এ পতন ঠেকানোর পাশাপাশি শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো একজোট হয়ে একাধিক বৈঠকেরও আয়োজন করে। এসব বৈঠকে বাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হলেও সূচকের ধারাবাহিক পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।
এরই ধারবাহিকতায় আজ বৃহষ্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড়ধরণের পতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। এদিন ডিএসই ব্রড ইনডেক্স কমেছে ৬০.৭৩ পয়েন্ট পাশাপাশি লেনদেনে হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সিএসই সাধারণ সূচক কমেছে ১৪২.৩১ পয়েন্ট এবং লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসই-তে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। অপরদিকে সিএসই-তে ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
আজ পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি সূচকের পতন ঘটেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। দিনশেষে সিএসই-তে সিএসসিএক্স সূচক ১৪২.৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭৮১৪.৮৪ পয়েন্টে। দিনভর সিএসইতে মোট ২২২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৭৭টির আর অপরিবর্তীত রয়েছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এদিকে দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৬০.৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪১৯২.২০ পয়েন্টে। দিনভর ডিএসইতে মোট ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ২২১টির আর অপরিবর্তীত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ও খুলনা পাওয়ার। আর সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু