আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

যে কারণে সূচকে বড় পতন

bazarশেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও ৩৫ মিনিট পর ব্যাংকের শেয়ারে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতায় টানা নামতে থাকে সূচক। বুধবার সূচকের পাশাপাশি ৬২.৪২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আর আগের দিনের তুলনায় টাকার অংকে লেনদেন কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আজ বাজারে সেল প্রেসার লক্ষ করা যায়। তবে অন্যান্য খাতে অনেকটা উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেলেও ব্যাংক খাতের মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা। এরই ধাারাবাহিকতায় সূচকের বড় পতন ঘটছে। দেশে লাভজনক সঞ্চয়ের সুযোগ কমে আসায় অনেকে গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। নতুন এ বিনিয়োগের বড় অংশই যাচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে। এতে এ খাতের কোম্পানিগুলোতে শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গত চার মাসে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম ২৩ থেকে ১৮৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেনেও দেখা যাচ্ছে ব্যাংকিং খাতের প্রাধান্য। গত কয়েকদিন ধরে বাজারে মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে ব্যাংক খাত ঘিরে। আর তাই এ খাত থেকে এখন বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলবেন এমটাই স্বাভাবিক।

তারা আরও বলছেন, এটা ঠিক যে, বাজারে কিছু ব্যাংকের শেয়ারের দাম আয়ের তুলনায় অবমূল্যায়িত ছিল। তাছাড়া খাত হিসেবেও ব্যাংকিং খাতের পিই রেশিও (দাম-আয় অনুপাত) কম ছিল। তাই ব্যাংকের শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়া যৌক্তিক ছিল। কিন্তু সব ব্যাংকের পরিস্থিতি এক রকম নয়। তবে যারা নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে এসেছেন তাদের মধ্যে কম দামে শেয়ার কেনার প্রবণতা রয়েছে। ফলে বাজারে যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার কম ছিলো সেগুলোর শেয়ারের দামও বেশি বেড়ে গেছে। তাই এখাতে সংশোধন জরুরী ছিল বলেও মনে করছেন তারা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬১৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৯৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ২০৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮২ কোটি ৯০ হাজার টাকা।

এর আগে মঙ্গলবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৬৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৬২৩৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৭৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক৩৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২১৪ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৫০৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার টাকা বা ৩৯.৪৪ শতাংশ।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৩৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির কমেছে ১৪৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫১ কোটি ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.