আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, সোমবার |

kidarkar

চার দিনে সূচক হারালো ১৩০ পয়েন্ট: মূলধন কমেছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

bazarশেয়ারবাজার রিপোর্ট: টানা ৪ কার্যদিবস ধরে সূচকের পতন হচ্ছে। সেই সাথে কমছে দৈনিক লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমাণ। আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শুরু থেকেই ব্যাংক খাতের সেল প্রেসারে পরতে থাকে সূচক। শেষ ভাগে এক বার ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও ইতিবাচক ধারায় ফিরতে পারেনি বাজার। সোমবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি টাকা।

এদিকে টানা চার কার্যদিবস পতনে সূচক ১৩০ পয়েন্ট কমেছে। সেই সঙ্গে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। চার কার্যদিবস আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ১৩ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। সেখানে আজ বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আজ বাজারে সেল প্রেসার লক্ষ করা যায়। তবে অন্যান্য খাতে অনেকটা উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেলেও ব্যাংক খাতের মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা। এরই ধাারাবাহিকতায় সূচকের বড় পতন ঘটছে। দেশে লাভজনক সঞ্চয়ের সুযোগ কমে আসায় অনেকে গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন। নতুন এ বিনিয়োগের বড় অংশই যাচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে। এতে এ খাতের কোম্পানিগুলোতে শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গত চার মাসে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের শেয়ারের দাম ২৩ থেকে ১৮৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেনেও দেখা যাচ্ছে ব্যাংকিং খাতের প্রাধান্য। গত কয়েকদিন ধরে বাজারে মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই হচ্ছে ব্যাংক খাত ঘিরে। আর তাই এ খাত থেকে এখন বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলবেন এমটাই স্বাভাবিক। আর ব্যাংক শেয়ার দরে সংশোধন হওয়ায় পুঁজিবাজারের অন্যান্য খাতের শেয়ার দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেননা আজ টেক্সটাইল খাত সহ অন্যান্য খাতে কিছুটা ক্রয় চাপ বিদ্যমান রয়েছে। তবে বাজারে ব্যাংক খাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার বিনিয়োগকারীরা কিছুটা ধীরে-সুস্থে বিনিয়োগ করছেন । অনেকে আবার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষা করছেন বলেও মনে করছেন তারা।

তারা আরও বলছেন, বাজারে কিছু ব্যাংকের শেয়ারের দাম আয়ের তুলনায় অবমূল্যায়িত ছিল। তাছাড়া খাত হিসেবেও ব্যাংকিং খাতের পিই রেশিও (দাম-আয় অনুপাত) কম ছিল। তাই ব্যাংকের শেয়ারের দাম কিছুটা বাড়া যৌক্তিক ছিল। কিন্তু সব ব্যাংকের পরিস্থিতি এক রকম নয়। তবে যারা নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে এসেছেন তাদের মধ্যে কম দামে শেয়ার কেনার প্রবণতা রয়েছে। ফলে বাজারে যে ব্যাংকগুলোর শেয়ার কম ছিলো সেগুলোর শেয়ারের দামও বেশি বেড়ে গেছে। তাই এখাতে সংশোধন জরুরী ছিল বলেও মনে করছেন তারা।

দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬১০৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৮৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ১৮০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৬৬৬ কোটি ১৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

এর আগে রোববার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬১৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৩৬৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২১৯৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬৬২ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির কমেছে ১২৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.