আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ অক্টোবর ২০১৭, বুধবার |

kidarkar

অবশেষে মুখ খুললেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল নাঈম (ভিডিও)

jannatulশেয়ারবাজার রিপোর্ট: অবশেষে ফেসবুকে লাইভে এসে মুখ খুলেছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। জান্নাতুল নাঈম বলেছেন, একটা ষোল বছরের মেয়েকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে সে মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে। সে মেয়ে আজ প্রতিষ্ঠিত। তার একটাই উদ্দেশ্য ছিলো যে ,বাংলাদেশে যে বাল্য বিবাহ চলছে সে বাল্য বিবাহকে আমি মানতে পারিনি। বাংলাদেশে আইন রয়েছে ষোল বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে দিলে সেটাকে বিয়ে বলে না। বেগম রোকেয়ার মতো একটি মেয়ে চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে। আমি ডিভোর্সি কিন্তু মানুষ হিসেবে আমার অধিকার রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। আমিতো শুধু চেয়েছিলাম মেয়েদেরকে দেখিয়ে দিতে। কয়টা মেয়ে আছে এরকম করতে পারে। সেই আপনারা আমার অতীত টেনে আমার প্রেজেন্ট লাইফটাকে শেষ করে দিচ্ছেন। একটা জিনিষ কি মনে আছে, আমি এই পর্যায়ে এসেছি কতটা যুদ্ধ করে? আমি কোনো ফ্যামিলি সাপোর্ট পাইনি।

এখন আপনারা যদি আমাকে শাস্তি দিতে চান আমি মেনে নেবো। কিন্তু আপনারা আমাকে চিনতে পারেন নাই। আমি কখনো হার মানতে শিখি নাই। যারা আমার সাথে সবসময় মিশে তারা জানে। আমি আজকে আবার কথা দিচ্ছি সবাইকে। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন নির্যাতিত মেয়েদের জন্য কাজ করবো। জান্নাতুল নাঈম এতো সহজে হার মানতে রাজী না। মিস ওয়ার্ল্ডে আমার নামটাই নাই থাকুন। কিন্তু আমি এতো গালাগাল সহ্য করেও কাজ করে যাবো।

আমি সেসব ফ্যামিলি,বাবা,সেসব মেয়েদের চোখ খুলে দিতে এসেছিলাম যে একটু সুযোগ পেলে মেয়েরা কতদূর যেতে পারে। কই আমি যখন রাস্তায় রাস্তায় বাইক চালাতাম,সাকসেসফুল হচ্ছিলাম তখনতো কেউ বলেনি। হ্যা,আমি মিস ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়ে ভুল করেছি কিন্তু আমি দেখিয়ে ছাড়ছি যে আমার মধ্যেও কিছু আছে। আমি কিছু করতে পারি।

আমার মা নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারেনি। সারাজীবন বাপের কথা মতো চলে যাচ্ছে। আমার মাও চেয়েছিলো যেন আমি তার মতো এভাবে শেষ হয়ে না যাই।

কেন মেয়েরা কি মিস হতে পারে না? সে যেখানে  একদিনও সংসার করে নাই সেখানে সারাজীবন তাকে মিসেস নাম বয়ে বেড়াতে হবে কেন?  আমার একটা প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন? ষোল বছরের একটা মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিলে সেখানে প্রতিবাদ হয় না,কোনো ট্রল করা হয়। অন্যদিকে একজন ডিভোর্সী মেয়ে মিল ওয়ার্ল্ড হলে সেখানে এতো সমস্যা কোথায়? আপনারা কি প্রত্যেককেই যার যার জায়গা থেকে সৎ?

আমি বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ে কাজ করবো। আমি এমন একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছি যেখানে কোনো নোংরামি ছিলো না। যেসব মেয়েরা অংশগ্রহন করেছে কোনো মেয়েই বলতে পারবে না যে কোনো আয়োজক কোনো খারাপ ইঙ্গিত দিয়েছিল। আমি জানি ওরা কিভাবে আমাদের পেছনে শ্রম দিয়ে আমাদের তৈরি করেছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.