পাইলট প্রজেক্টের আওতায় শতভাগ হাউজ : ২৫ মে নতুন পদ্ধতি শুরু
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনে ব্যাংক পদ্ধতি সম্পূর্ণরুপে বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২৫ মে থেকে আমান ফিডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজ হাউজের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করতে হবে। ইতিমধ্যে পুঁজিবাজারের শতভাগ সিকিউরিটিজ হাউজ পাইলট প্রজেক্টের আওতায় চলে এসেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে হাউজের পাশাপাশি ব্যাংক পদ্ধতিও রাখার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৩৬তম কমিশন সভায় আইপিও আবেদনে ব্যাংক পদ্ধতি সম্পূর্ণরুপে বাতিল করা হয়। বলা হয়,১ এপ্রিল, ২০১৫ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। ফলে আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ থেকে রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সময়সীমা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
এদিকে নতুন এই পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীসহ সিকিউরিটিজ হাউজ,মার্চেন্ট ব্যাংকদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিএসইসি।
আইপিও’র শেয়ারের জন্য আবেদন করতে আগ্রহী প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে সংশ্লিষ্ট ডিপিতে নিজ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা জমা রাখতে হয়। এ টাকা ওই আইপিও’র জন্য ব্লক করে রাখা হয়। আইপিও’র লটারি না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা তুলতে বা ওই টাকায় অন্য কোনো শেয়ার কিনতে পারবেন না। এরপর হাউজের ডিপোজেটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) তার সব গ্রাহকের আবেদনপত্র জমা দেবে। লটারিতে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী শেয়ার বরাদ্দ পেলে তার হিসাব থেকে কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করে দেবে ডিপি। অন্যদিকে বিনিয়োগকারী অকৃতকার্য হলে তার গচ্ছিত টাকার ওপর থেকে ব্লক তুলে নেয়া হবে। তখন বিনিয়োগকারী চাইলে ওই টাকায় নতুন কোনো আইপিও’র আবেদন করতে পারবেন, অন্য কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারবেন অথবা চাইলে তা তুলেও নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের মাধ্যমে হাউজ আইপিও পদ্ধতি তথা পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/সা