ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে যেসব কোম্পানির শেয়ার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজার এখন অনেকটাই বিনিয়োগ উপযোগী। কারণ বাজারের সার্বিক পিই রেশিও অতীতের তুলনায় এখন অনেক কম। অথচ এমন পরিস্থিতির মাঝেও তালিকাভুক্ত ২০ কোম্পানির পিই রেশিও (মূল্য-আয় অনুপাত) অনেক বেশি। পরিণতিতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৪০ এর কম হওয়া ভালো। পিই রেশিও যত কম হয়, বিনিয়োগে ঝুঁকি তত কম। মূল্য-আয় অনুপাত হচ্ছে একটি কোম্পানির শেয়ার তার আয়ের কতগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তার একটি পরিমাপ।
এ বিষয়ে বাজার সংশিষ্টরা বলেন, ভাল ও মৌলভিক্তি কোম্পানির চেনার একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো কোম্পানির পিই রেশিও। কারণ যে কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও যত কম হয়, সে কোম্পানিতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ততটাই কম হয়। আর পিই রেশিও যত বেশি, সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকিও তত বেশি। কোনো কোম্পানির সর্বোচ্চ পিই ৪০ পয়েন্টের ঘরে থাকলে তাকে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে ধরে নেয়া হয়।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা পিই রেশিও ৪০ এর নীচে হওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন। আর ৪০ পয়েন্টের ওপরে থাকা কোম্পানিকে বিনিয়োগকে অনিরাপদ বলে মত প্রকাশ করেন। যে কারণে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন রুলস ১৯৯৯ অনুযায়ী, ৪০ এর ওপরে অবস্থান করবে সেসব কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগে মার্জিন সুবিধা প্রদানে নিষেধারোপ করেছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ডিএসইতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পিই রেশিও রয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের। কোম্পানির পিই রেশিও ৪১৯৩.৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এরপরেই রয়েছে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ। এ কোম্পানির পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১৬১.১১ পয়েন্টে।
এছাড়া বিডি অটোকার্সের পিই রেশিও রয়েছে ২৮১.২২ পয়েন্টে, ডোরিন পাওয়ার জেনারশেনের ২৫৯.৫৫ পয়েন্টে, মুন্নু জুট স্টফলার্সের ২০৮.০৪ পয়েন্টে, রেনউইক যঞ্জেশ্বরের ২০২.৬২ পয়েন্টে, ইস্টার্ন কেবলসের ১৫৭.৭৮ পয়েন্টে, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ১৪৮.৭৫ পয়েন্টে, মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ট্যাফলার্সের ১৫৯.৪১ পয়েন্টে, সোনালী আঁশের ১৫৫.৭৯ পয়েন্টে, অ্যাম্বি ফার্মার ১২৯.৬৮ পয়েন্টে, লিবরা ইনফিউশনের ১১৯.৬৮ পয়েন্টে, আনোয়ার গ্যালভারাইজিংয়ের ১২৭.৪০ পয়েন্টে, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১০৭.০৩ পয়েন্টে, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১০৪.৬৬ পয়েন্টে, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ১০০.১৯ পয়েন্টে, দেশবন্ধু পলিমারের ৯৫.৭৯ পয়েন্টে, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৯৭.৯২ পয়েন্টে, বিকন ফার্মার ৭৮.৮৯ পয়েন্টে ও সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজরে পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬৬.৩৪ পয়েন্টে।
উল্লেখ্য, লোকসানি কোম্পানির ক্ষেত্রে পিই রেশিও প্রযোজ্য নয় লোকসান মানেই ঝুঁকিপূর্ণ।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর